বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ছুরি দিয়ে লিভ ইন পার্টনারকে ৩৫ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল প্রেমিক আফতাব। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই সেই ধরনের ঘটনাই দেখা গেল ঝাড়খণ্ডে। বাগদত্তাকে ২৫ বার ছুরির কোপ মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, এই জুটি প্রায় মাস পাঁচেক আগে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আচমকা এই ঘটনায় সবকিছু লন্ডভন্ড। ছাদনা তলার বদলে প্রেমিকের এখন ঠাঁই হয়েছে জেলে। ঘটনায় অভিযুক্ত অরবিন্দ কুজুর ঝাড়খণ্ডের বাসিয়া থানা এলাকার কার্দংয়ের বাসিন্দা। ঠিক কি কারণে সে এই ধরনের ঘটনা ঘটালো তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঝাড়খণ্ডের কার্দেং গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ কুজুর এবং জেনেবিভা তিরকে মাস পাঁচেক আগে সিদ্ধান্ত নেন যে তারা বিয়ে করবেন। জেনেবিভা সিমদেগা অঞ্চলে GNM সদর হাসপাতালের কর্মী ছিলেন। কর্মসূত্রে গত একমাস ধরে জেনেবিভা সারুদা এলাকায় তিজেন এক্কা নামের এক আত্মীয়র বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। অরবিন্দ প্রায়ই সারুদাতে যেত জেনেবিভার সাথে দেখা করতে। গত সোমবার তিজেন এক্কার বাড়িতে বিকাল ৪ টে নাগাদ জেনেবিভার সাথে দেখা করতে যান অরবিন্দ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রেমিকার বাড়িতে প্রবেশ করার পরই তাকে ছুরি নিয়ে আঘাত করতে যায় অরবিন্দ। জেনেবিভা পালানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। অরবিন্দ জেনেবিভাকে ধরে ফেলে তার বুকে ২৫ বার ছুরির আঘাত করে। জেনেবিভার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বাড়ির মালিক তিজেন এক্কা ও প্রতিবেশীরা। এরপর রীতিমতো ধস্তাধস্তি করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অরবিন্দ। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় জেনেবিভাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা জেনেবিভাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই ঘটনায় জেনেবিভার পরিবার জানিয়েছে, এর আগেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে তীব্র ঝামেলা হতো। এমনকি তাদের বাড়ির মেয়েকে অরবিন্দ মারধর ও মানসিক হেনস্থাও করেছে। এছাড়াও জানা গেছে, পুলিশের খাতায় অরবিন্দের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ডও রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তৎপরতার সাথে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা