বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার পূর্বে বাংলায় নিজেদের সংগঠনে জোর দিতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) পাশাপাশি বিজেপি (Bharatiya Janata Party) এবং সিপিএম-র (Cpim) মতো দলগুলি। আর এর মাঝেই এবার পাঁশকুড়া (Panskura) সমবায় নির্বাচনে বড়সড় জয় পেল শাসক দল। বিজেপি এবং সিপিএমকে বহু পিছনে ফেলে বড়সড় জয় পেল তারা। একইসঙ্গে এই জয়ের ফলে বাঁধনহারা উল্লাস দেখা গিয়েছে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন পাঁশকুড়া ব্লকে হাউরের দশাং সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকার পরিস্থিতি। এক্ষেত্রে গত সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করলেও এবারের নির্বাচন ঘিরে বেশ সরগরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের তুলনা করতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসকে বেশ খানিকটা পিছনে ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি ইস্যু এবং গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে চাপে রয়েছে শাসক দল। এই পরিস্থিতিতে ১২৯৮ ভোটার সংখ্যা বিশিষ্ট সমবায় নির্বাচনে ৫২ টির মধ্যে ৫১ টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে, বিজেপি এবং বামেরা প্রার্থী দেয় যথাক্রমে ৪৮ এবং ৪০ টি আসনে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত চড়তে থাকে পারদ। তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে স্লোগান এবং বিবাদের কারণে মুহূর্তের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে অবশেষে ভোট গণনার পর দেখা যায়, ৫২ টি আসনের মধ্যে মোট ৪৩ টি-তে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে, বাম এবং বিজেপির দখলে গিয়েছে যথাক্রমে ২ এবং ৬ টি আসন।
যদিও এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে এসে ঝামেলা সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলেছে পদ্মফুল শিবির। গোটা নির্বাচন প্রসঙ্গে এদিন বিজেপির মন্ডল সভাপতি বলেন, “সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভ করা তৃণমূলের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেও তার অন্যথা হয়নি। বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে ওরা। তাই এই নির্বাচনে আমাদের এক প্রকার নৈতিক জয় হয়েছে বলা যায়। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমানে সমানে লড়াই হতে চলেছে।”
যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুজিত রায় বলেন, “বিজেপি অপপ্রচার এবং কুৎসা করে চলেছে। তবে সমবায় নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত আমাদের জয় হয়েছে। ওরা নিজেদের হার বুঝতে পেরেই আমাদের বিরুদ্ধে একের পর একে অভিযোগ করে চলেছে। তবে মানুষের সমর্থনে শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস।”