‘কাজ করতে গেলে সংঘাত হলে হবে”, কলকাতায় আসার আগেই বড় মন্তব্য ভাবী রাজ্যপাল বোসের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলার পরবর্তী রাজ্যপাল হিসাবে ড. সিভি আনন্দ বোসের (Dr C.V. Ananda Bose) নাম ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপতি ভবন। নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলার (West Bengal) রাজ্যপাল (governor) হিসাবে তাঁর কার্যকালের শুরু হবে যেদিন তিনি দায়িত্ব নিতে চাইবেন সেদিন থেকেই। রাজভবন সূত্রে এদিন রাত পর্যন্ত স্পষ্ট করা হয়নি কবে নতুন রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে।

তবে, সরকারিভাবে নাম ঘোষণার পর দিল্লি সংবাদনাধ্যমের সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল হিসাবে তাঁকে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে তা পরিস্কার করে বলে দিলেন প্রাক্তন আমলা সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, ‘সংবিধানের পরিধির মধ্যে রাজ্যের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করব। বাংলার জনগণের স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে কোনওরকম আপসের প্রশ্নই ওঠে না।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গবাসীর হয়ে কাজ করাই আমার অগ্রাধিকার। এক, দুই, তিন—আমার অগ্রাধিকার হবে রাজ্যের মানুষের স্বার্থ রক্ষা।’

আগের দুই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক ভাল ছিল না। সংঘাত লেগেই ছিল রাজ্য সরকার ও রাজভবনের মধ্যে। বারবার বিবাদে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলার রাজভবনে পৌঁছে আমি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখব। নিজের মতো করে বিচার-বিশ্লেষণ করব। কোন প্রশ্নে কেন সমস্যা হয়েছিল, সবই তখন জানতে পারব।’

এরই সঙ্গে তিনি আরও জানান, ‘রাজ্যপালের কর্তব্য এবং অধিকার সংবিধানে পরিস্কার করে বলা আছে। নির্বাচিত রাজ্য সরকারেরও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। আমি সংবিধানের মর্যাদা রক্ষায় রাজ্যপাল হিসাবে আমার কর্তব্য পালন করে যাব।’

বাংলায় রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কি ধনকড়ের পথ এড়িয়ে চলবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ভাবী রাজ্যপাল জানান, ‘গণতন্ত্রে কাজ করতে গিয়ে সংঘাত হতেই পারে। অনেক সময় তা অনিবার্যও হয়ে দাঁড়ায়। সংঘাত, মতবিরোধ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু দেখছি না। বিরোধ তো হতেই পারে।’ তাঁর এই কথা শুনে অনেকেই মনে করছেন, ধনকড়ের মতো আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত হতেই পারে যে কোনও মুহুর্তে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর