বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)! অতীতে একাধিক সময় এই বিষয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন একাধিক বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা আর এবার ভারতবাসীর নিকট এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল মোদী (Narendra Modi) সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। খুশির হাওয়া দেশবাসীর মধ্যে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ সরকারের কথা ঘোষণা করেন স্বয়ং সুভাষ চন্দ্র বসু। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পাশাপাশি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঘোষণা করেন তিনি। সেই বছরেই ৩০শে ডিসেম্বর আন্দামানে জিমখানা গ্রাউন্ডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নেতাজি। এতদিন পর্যন্ত ইতিহাসে এই ঘটনার উল্লেখ থাকলেও এবার নেতাজির অবদান গোটা দেশবাসীর মাঝে তুলে ধরতে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের কাজ শুরু করলো কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, অতীতে একাধিক সময়ে নেতাজিকে ‘অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সুর শোনা যায় বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের গলায়। সম্প্রতি, স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্মান জানিয়ে লালকেল্লায় মিউজিয়ামগুলি সজ্জিত করা হয়।
এক্ষেত্রে নেতাজির শপথপত্র খোদিত করার পাশাপাশি আজাদ হিন্দ সরকার প্রসঙ্গেও একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয় দেশবাসীর সামনে আর এবার দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতাজির নাম প্রকাশ্যে আনার মাধ্যমে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়ার পথে কেন্দ্র। তবে শুধুমাত্র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুই নন, এক্ষেত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকরের ভূমিকাকেও তুলে ধরতে মরিয়া মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিনায়ক দামোদর সাভারকারকে নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করা হয় আর এবার সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীর ইতিহাস তুলে ধরতে চলেছে বিজেপি। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতে, নেতাজির নাম ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার মাধ্যমে জহরলাল নেহেরুর ভূমিকা একপ্রকার মুছে দিতে চাইছে কেন্দ্র। তবে এক্ষেত্রে স্বীকৃতি প্রদানের প্রক্রিয়া কবে নাগাদ শেষ হয়, সেটাই দেখার।