বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে গোটা শহর জুড়ে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় আক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্রাণ গিয়েছে অনেকের আর এবার এর মাঝেই অবশেষে আশার বাণী শোনালেন কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এমনকি, কবে নাগাদ ডেঙ্গির প্রকোপ কমবে, সে বিষয়েও এদিন জানালেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েও প্রাণ গিয়েছে অনেকের। এই অবস্থায় পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া তো দূরের কথা, বরং প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল সরকারের দিকে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমের মতো বিরোধী দলগুলি।
যেভাবে একের পর এক মানুষ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চলেছেন, তাতে অস্বস্তিতে কলকাতা পুরসভা। এ সকল বিতর্ক মাঝে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ডেঙ্গি প্রসঙ্গে আশা প্রকাশ করলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “শহরে ধীরে ধীরে শীত পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মশার লার্ভা জন্মাতে পারবে না। আশা করা যায়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতা সহ গোটা বাংলায় ডেঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আগের থেকে বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতিসাধন করা সম্ভব হয়েছে।”
অতীতেও একাধিক সময় তাপমাত্রা পতনের সঙ্গে ডেঙ্গির প্রকোপ কমার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে শোনা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। এক্ষেত্রে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পারদ পতন হলে মশার লার্ভা নতুন করে জন্মাতে পারবে না বলেই এদিন জানালেন ফিরহাদ। অপরদিকে, স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, আগের থেকে ডেঙ্গি পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হলেও মৃত্যুর হার একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবনের প্রোটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা হচ্ছে না বলে দাবি করেছে একাধিক মহল। অপরদিকে প্রশাসনের গাফিলতি প্রসঙ্গে অভিযোগ তুলে চলেছে বিরোধী দলগুলি।
এই সকল বিষয়কে মাথায় রেখে এদিন মশা বাহিত রোগের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সকল নার্স, চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এক্ষেত্রে সাফাই কর্মীদের উদ্দেশ্যে কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিদর্শন করার পাশাপাশি প্রোটোকল এবং কর্মসূচিতেও জোর দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেন ফিরহাদ হাকিম। ফলে কলকাতার পাশাপাশি বাংলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি কবে নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসে, সেদিকেই ব্যাকুলভাবে তাকিয়ে বঙ্গবাসী।