বাংলা হান্ট ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সেহোর (Sehore) জেলার জাওয়ার তহসিলের দেববড়লা গ্রামে গত কয়েক বছর ধরে খননকার্য চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক মূর্তি এবং মন্দিরেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায়, জোরকদমে চলছে খননের কাজ। তবে, এবার চতুর্থ মন্দিরের পর সেখান পঞ্চম মন্দিরের জন্য চলমান খননের সময়ে সন্ধান মিলেছে নটরাজ শিবের একটি চমৎকার মূর্তির।
এই প্রসঙ্গে মন্দির কমিটির সভাপতি ওঙ্কার সিং ভগত ও কুনওয়ার বিজেন্দ্র সিং ভাটি জানান, এখনও পর্যন্ত এখানে খননের ফলে মোট চারটি মন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে,সম্প্রতি ওই এলাকায় পঞ্চম মন্দিরের কিছু অংশ সামনে এসেছে। এমতাবস্থায়, ওই ধ্বংসাবশেষ অপসারণের সময়ে একাদশ শতকের একটি কালো পাথরের নটরাজ মূর্তি পাওয়া গেছে। ওই মূর্তিটিতে ভগবান শিবকে তাণ্ডব করতে দেখা গিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই মূর্তির ছয়টি হাত রয়েছে। পাশাপাশি, প্রাচীন মূর্তিটির দুই পাশে স্তম্ভও রয়েছে। মূলত, নটরাজের রূপে ভগবান শিবের ছয়টি হাত পরিলক্ষিত হয়েছে। যেগুলির মধ্যে শঙ্খ, ত্রিশূল এবং ডমরু রয়েছে। এর পাশাপাশি মৃদঙ্গ ও ঢোল বাজানো অবস্থায় আরও দুই দেবতার প্রতিকৃতি তৈরি করা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ওই মূর্তিটি কালো পাথর দিয়ে তৈরি। তবে, এর আগেও ওই এলাকায় বিষ্ণু, দুর্গা, দ্বাদশ অবতার ও শিবলিঙ্গের মত একাধিক মূর্তি পাওয়া গেছে। আপাতত সেগুলিকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, দেববড়লায় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ২০১৬-১৭ সালে প্রথম শিব মন্দির খনন করে। যা সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রত্নতত্ত্ববিদ ডঃ রমেশ যাদব জানান যে, ২০১৬ সালে সেহোরের তৎকালীন কালেক্টর ডঃ পি. সুদাম খাদে এই প্রসঙ্গে ভোপালের তৎকালীন প্রত্নতত্ত্ব কমিশনার অজাতশত্রু শ্রীবাস্তবকে জানিয়েছিলেন।
এরপর কমিশনার এগুলি পরিদর্শনের জন্য পাঠান। এমতাবস্থায়, ক্রমশ জানা যায় যে, ওই স্থানে ৯ থেকে ১০ টি মন্দির সমাধিস্থ রয়েছে, যেগুলিকে খনন করে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এরপর সংশ্লিষ্ট বিভাগটি খননের কাজ শুরু করে এবং প্রথম মন্দিরটি পাওয়া যায়। আর এভাবেই বর্তমানে পঞ্চম মন্দিরটির সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে।