বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০০ দিনের উপর জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তবে এর মাঝেও তিনি যে দমে যাননি, তা এক প্রকার প্রমাণিত। বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্বের সমর্থন থাকায় নিজের মেজাজেই বিরাজ করে চলেছেন অনুব্রত। এক্ষেত্রে অতীতেও বীরভূম জেলায় সকল সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে কেষ্টকে আর বর্তমানে জেলে থাকলেও নিজের চেনা ছন্দেই ধরা দিলেন তিনি। জেলবন্দি অবস্থাতেও পুলিশের বকেয়া ডিএ (Dareness Allowance) মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসলেন তৃণমূল নেতা।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। সাম্প্রতিক সময় প্রাপ্য বকেয়া ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের দ্বারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া ঘিরে উত্তপ্ত রয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে দিয়ে DA-র বিস্তর ফারাক নিয়েও সরব সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আর এর মাঝেই পুলিশদের উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার তোমাদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবে।”
গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে ১০০ দিনের উপর সময় ধরে জেল হেফাজতে রয়েছে তিনি। একইসঙ্গে সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। ইতিমধ্যেই তাঁর দিল্লিতে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমাগত জোরালো হয়ে উঠছে।
যদিও এ সকল সম্ভাবনা মাঝেই গতকাল বুকে ব্যথা নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন অনুব্রত। এক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা চলে। সূত্রের খবর, সেই সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশদের উদ্দেশ্যে বকেয়া ডিএ মেটানো প্রসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূল নেতা। তাঁর কথা শুনে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা মুচকি হাসে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
যদিও অপরদিকে অনুব্রত মণ্ডলের এই প্রতিশ্রুতি ঘিরে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এক্ষেত্রে দলীয় প্রতিনিধি না হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে অনুব্রত ডিএ প্রসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলির একাংশ।
অনুব্রত ইস্যুতে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মানুষ যে ওর পাশে নেই ,তা বুঝতে পারছেন অনুব্রত। সেই কারণে পুলিশের সাহায্যে যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন উতরে যেতে পারে, তাই এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। নিজে জেল থেকে কি করে বেরোবেন, সেটাই বরং চিন্তা করা উচিত কেষ্টর।”