বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) কি দিল্লিতে (Delhi) নিয়ে গিয়ে জেরা করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate), বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে এই জল্পনা ক্রমাগত জোরালো হয়ে উঠছে আর এর মাঝে এবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) দ্বারস্থ হলেন কেষ্ট। তাঁর পক্ষে মামলাটি লড়বেন আইনজীবী কপিল সিম্বল। এক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে দিল্লি যাত্রা এড়ানোরর প্রয়াস অনুব্রতর। ফলে আগামী শুক্রবার মামলার শুনানি আগে পর্যন্ত তৃণমূল নেতাকে আপাতত দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না তদন্তকারী অফিসাররা।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এক্ষেত্রে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়ার পাশাপাশি অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামেও অসংখ্য জমি এবং একাধিক কোম্পানির খোঁজ পায় তদন্তকারী অফিসাররা। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা জয় লাভের বিষয়টি সামনে উঠে আসতেই সিবিআইয়ের পাশাপাশি তৎপর হয়ে ওঠে ইডি।
কয়েকদিন পূর্বেই এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে টানা সাড়ে পাঁচ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসাররা এবং এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাংলা ছেড়ে অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা সম্ভাবনা ক্রমাগত জোরালো হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি এবং বর্তমানে তিহার জেলে রয়েছে সায়গল।
যদিও বর্তমানে হার মানতে নারাজ অনুব্রত। তৃণমূল নেতার দাবি, গরু পাচার মামলাটি বাংলায় ঘটে থাকলে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কি রয়েছে? এই প্রশ্নটি তুলে ইতিমধ্যে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এক্ষেত্রে সম্প্রতি ইডির তরফ থেকে দিল্লির একটি আদালতে অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে এসে জেরার বিষয়ে আবেদন করা হলেও উক্ত মামলাটির আর কোন গ্রহণযোগ্যতা রইল না বলেই খবর।
এক্ষেত্রে আগামী শুক্রবার হাইকোর্টে শুনানির আগে পর্যন্ত অনুব্রতকে দিল্লিতে আনা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করার পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন অনুব্রত। এক্ষেত্রে অভিষেকের আর্জির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, দিল্লির বদলে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। যদিও এক্ষেত্রে পাল্টা দাবি পেশ করেছে ইডির আইনজীবী। এখন দেখার, এই মামলায় অবশেষে কি রায় দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।