বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিনের পর দিন হাতির হানা বেড়ে চলেছে সুন্দরবন (Sundarban) এলাকায়। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি সাইক্লোন এবং বন্যার পরিস্থিতি নিয়েও ক্রমাগত এলাকার পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠেছে। ধান ক্ষেতে হাতির হামলায় বিপুল পরিমাণ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে। প্রাণ গিয়েছে অনেকের আর এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি এবার প্রকৃতি পুজোর কথা শোনা গেল মমতার গলায়।
এদিন বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী মঙ্গলবার আমি হিঙ্গলগঞ্জ যাব এবং বৃক্ষ পুজো করব। যেভাবে হাতির হানা বেড়ে চলেছে, ধান ক্ষেতে প্রবেশ করে তারা জমি নষ্ট করছে, মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, তাতে প্রকৃতি পুজো করার প্রয়োজন।”
তিনি আরো বলেন, “স্থানীয় বন কর্মী থেকে শুরু করে মানুষজনকেও এই পুজোয় সামিল থাকতে হবে। যেভাবে মানুষের ক্ষতি হয়ে চলেছে, তা দেখতে হবে। একইসঙ্গে চাকরির ব্যবস্থাতেও নজর রাখা দরকার।”
হাতির হানার পাশাপাশি এদিন বন্যা এবং সাইক্লোন পরিস্থিতি নিয়েও একাধিক মন্তব্য করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “সুন্দরবন নিয়ে আমরা একটা মাস্টার প্ল্যান ইতিমধ্যে তৈরি করেছি এবং তা নীতি আয়োগে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর যেভাবে বন্যা এবং সাইক্লোনের কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাতে মাস্টার প্ল্যান হলে সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে।”
একইসঙ্গে বনমন্ত্রীকে কড়া নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মমতা বলেন, “এক চোখ বন্ধ করে আরেক চোখ দিয়ে দেখা যায় না। বনমন্ত্রীকে আমি বলবো, যে বিষয়গুলি বর্তমানে দেখা প্রয়োজন, সেগুলি প্রসঙ্গে সিরিয়াস হও। মানুষকে বাঁচানো দরকার। আমি হিঙ্গলগঞ্জে যাব। সেখানে প্রকৃতি পুজো করতে হবে।”
শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জেলাশাসকদের বলেছি, বাঘ কিংবা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে যদি হাতি অথবা কুমিরের আক্রমণে কেউ মারা যায়, তাহলে সেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। এক্ষেত্রে যাতে চাকরির বন্দোবস্ত করে দেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে দেখতে হবে। এই বিষয়টি বনদপ্তর দেখুক।”
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা