বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh Government) ও পুলিশ প্রশাসন অন্যায় এবং অপরাধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। ২০১৭ সালের মার্চে যোগী উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেটে গিয়েছে ৫ বছর। যোগী রাজ্যে একাধিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীকে সাজা দেওয়ায়র নিরিখে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ উত্তরপ্রদেশ (UP) সরকার। রাজ্যে বেড়েছে এনকাউন্টারের (Encounter ) সংখ্যাও।
রেকর্ড অনুযায়ী অপরাধে লাগাম টেনে বিগত ২০ মার্চ ২০১৭ থেকে ২০ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া মোট ২২ হাজার ২৩৪ জন অপরাধীর মধ্যে পুলিস এনকাউন্টার করেছে ৪৫৫৭ জনকে। সাম্প্রতিক ১৬৮ জন অপরাধীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ প্রশাসন, যাদের প্রত্যেকের মাথার পিছু দাম ধরা ছিল ৭৫ হাজার টাকা। এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উচ্ছ্বসিত যোগী সরকার।
পুলিশ প্রশাসনের এনকাউন্টার নীতির কারণে মোট ১২ হাজার দুষ্কৃতী জেল থেকে জামিন নিতে অস্বীকার করেছে কিংবা অনেকে আবার সরাসরি আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে প্রাণ টুকু রক্ষা করার জন্য।
উত্তরপ্রদেশের এডিজি প্রশান্ত কুমার অবশ্য জানিয়েছেন এনকাউন্টার করার সময় যোগী প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই সেই কাজ। তিনি আরোও বলেন যে এই সকল এনকাউন্টারের সময় ১৩ জন পুলিস সদস্য নিহত হয়েছেন এবং আরও ১,৩৭৫ পুলিস সদস্য আহত হয়েছেন।
এর আগে খোদ যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘যদি কেউ অপরাধ করে, তাহলে গুলি করে দেওয়া হবে।’
যোগী রাজ্যে ক্রমাগত বাড়তে থাকা এনকাউন্টার প্রসঙ্গে বহুবার সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। কিন্তু তাদের কথায় তোয়াক্কা না করে যোগী সরকার ও প্রশাসন নিজ লক্ষ্যে অবিচল। তারই পুরুস্কার স্বরূপ সাফল্য পেল যোগী প্রশাসনের ‘এনকাউন্টার পরিষেবা।