বীরভূমের সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডলই! তাঁকে সামনে রেখেই ৪ বিধায়ককে জেলার দায়িত্ব দিল তৃনমূল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেশ দীর্ঘ সময় ধরেই সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। একাধিক মামলার তদন্ত চলছে তাঁকে ঘিরে। বারবার চেয়েও জামিন পাননি।তার পরও তাঁকেই সভাপতি পদে রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ময়দানে নামতে চায় তৃণমূল। তিনি বীরভূম Birbhum) জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। গত ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরই ১৪ অগস্ট বেহালা পশ্চিমে জনসভা করতে গিয়ে কেষ্টর পাশে থাকার বার্তা দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকাল এজলাস থেকেই একাধিক নির্দেশও দেন বীরভূমের এই ডাকসাইটে নেতা।

অনুব্রত মণ্ডলকে সভাপতি পদে রেখে দেওয়ার পক্ষপাতী বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে বীরভূম জেলা থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের ১০ জন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম থেকে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী বিধায়করা অনেকেই তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। মূলত তাঁদের মধ্যে থেকেই ৪ জন বিধায়কের হাতে সংগঠনের রাশ দিয়েছে দল।

রামপুরহাটের বিধায়ক ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ,বীরভুম জেলা পরিষদের সভাপধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহর উপর আস্থা রেখেছে জোড়া ফুল শিবির। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই চার বিধায়কের সঙ্গে জেলা সংগঠন নিয়ে আলাদা ভাবে কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলা বা ব্লক কমিটি থেকে কোনও নেতাকে পুর্নবাসন ছাড়া যেন বদল না করা হয়। জেলা বা সাংগঠনিক রদবদলে কাউকেই বাদ না দেওয়া হয়। এটাই তৃণমূলের রীতি। বিশেষ করে সভাপতির অনুপস্থিতিতে কেউ যেন দলে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন তার জন্যই এই ব্যবস্থা।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর