বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রতিমাসে দু হাজার টাকা দেওয়া হবে: সুকান্ত মজুমদার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন( Panchayat Election)। আর সেই নিয়েই চলছে রাজ্যর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি দান পর্ব। আর এরই মাঝে রাজ্যের সাধারণ মানুষদের জন্য এক বড় ঘোষণা করল রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar)। নির্বাচনে জিতলে দু হাজরি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) ও ১০ হাজারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত ২১ এর নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে, তবে শুধু প্রতিশ্রুতিই নয়! নির্বাচনে জিতে কথা মতো রাজ্যের মা-বোনেদের জন্য নিয়ে হাজির হয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তবে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগেই সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে নিজেদের হাতিয়ার করে সেই প্রকল্পের ভাতার পরিমান ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করার প্রতিশ্রুতি শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে

এদিন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের বাড়িতে দলত্যাগী দুই নেতা সুদীপ চৌধুরী ও মদনমোহন চৌবেকে ফের দলে ফিরিয়ে এই মন্তব্য করতে শোনা যায় সুকান্তকে। এদিন মিঠুন চক্রবর্তীকে সাথে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে যারা তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে রেখেছে কী আর পাচ্ছে তারা? কী পাচ্ছিসরে ভাই? তৃণমূল তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মাত্র ৫০০ টাকা দিচ্ছে। ৫০০ টাকায় সংসার চলে? বিজেপি এলে ২ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দেবে। আমি এই মঞ্চ থেকে কথা দিয়ে গেলাম।

তার দাবি, বিজেপির সরকার রাজ্যে এলেই একলাফে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা চারগুণ বেড়ে যাবে।’ এছাড়াও এদিন কর্মসংস্থান প্রসঙ্গও শোনা গেলো বিজেপি নেতার মুখে। তিনি বলেন ক্ষমতায় এলে রাজ্যে শিল্পায়ন সহ বহু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিজেপি সরকার।

sukanto majumder

তার এ মন্তব্য নিয়েই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত ২১ এ জয়লাভের পর মুখ্যমন্ত্রীর এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প যথেষ্টই জনপ্রিয় হয়েছে রাজ্যে, বিতর্কিত হলেও প্রকল্পের জয়গান ছেয়ে গেছে গোটা রাজ্যে, আর এরই মধ্যে শাসক দলের সেই লক্ষী ভান্ডারকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েত ভোট জয়লাভের ছক কষছে বিরোধী শিবির।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর