১০ বছর পর জন্ম নিয়েছে কন্যা সন্তান! মনের আনন্দে সবাইকে বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ালেন বাবা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পরিবারে নবজাতকের জন্ম হওয়া মানেই তা এক খুশির রেশ বহন করে আনে। এমনকি, কেউ কেউ আবার নতুন সদস্যকে পেয়ে এতটাই আনন্দিত হয়ে যান যে তাঁরা রীতিমতো নজিরবিহীন সব কাজের মাধ্যমে সময়টিকে স্মরণীয় করে রাখেন। এমতাবস্থায়, সেই ঘটনাগুলি উঠে আসে খবরের শিরোনামেও। সম্প্রতিও, ঠিক এই রকমই এক ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। যেখানে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক ব্যক্তি কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ার কারণে আনন্দে প্রায় ৪,০০০ ফুচকা খাইয়েছেন।

জানা গিয়েছে, সবাইকে ফুচকা খাওয়ানোর জন্য তিনি পোস্টারও লাগিয়ে দেন সর্বত্র। এমতাবস্থায়, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর স্টলে প্রবল ভিড় পরিলক্ষিত হয়। আট থেকে আশি সকলেই উপস্থিত হয়ে যান সেখানে। শুধু তাই নয়, মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান বিপুলসংখ্যক মানুষ। এদিকে, এই ঘটনা সামনে আসার পরই ওই ব্যক্তির এহেন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সকলেই।

   

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারায়। সেখানে বসবাসকারী সঞ্জিত চন্দ্রবংশী নামের এক ব্যক্তির ১০ বছর পরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। আর সেই জন্যই তিনি বিনামূল্যে সবাইকে ফুচকা খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এমতবস্থায়, চন্দ্রবংশী জানিয়েছেন যে, তাঁর তিন ভাই রয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছরে বাড়িতে কোনো কন্যা সন্তানের জন্ম হয়নি। গত মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সেই আনন্দেই তিনি পোস্টার লাগিয়ে সবাইকে ফুচকা খাওয়ান।

উল্লেখ্য যে, সঞ্জিত চন্দ্রবংশী ছিন্দওয়ারার পোলা গ্রাউন্ডের কাছে “অথর্ব গুপচুপ অ্যান্ড চাট সেন্টার” নামে একটি ফুচকার স্টল চালান। প্রতিদিন তাঁর প্রায় দু’হাজার ফুচকা বিক্রি হয়। এমতাবস্থায়, কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ার পর তিনি আনন্দে নতুন কিছু করতে চেয়েছিলেন। আর সেই কারণেই তিনি এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

WhatsApp Image 2022 11 29 at 1.49.21 PM

সকলেই তাঁর প্রশংসা করছেন: এদিকে, সঞ্জিতের স্টলে বিনামূল্যে ফুচকা বিতরণের কারণ জেনে সকলেই তাঁকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন। বর্তমান সময়ে যখন প্রায়শই কন্যা সন্তানের জন্মের পর বিভিন্ন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার খবর সামনে আসে ঠিক সেই সময়ে সঞ্জিত সকলের কাছেই এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি, সকলেই তাঁর কন্যাকে আশীর্বাদও করেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর