বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্বকালের সেরা পেসারদের মধ্যে একজন বলে গণ্য করা হয় পাকিস্তানের প্রাক্তন অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি পেসার ওয়াসিম আক্রমকে। বহুবছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তান দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে নামার পাশাপাশি দেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন তিনি।
কিন্তু সকলেই শুধু তার সাফল্যটা দেখেন, তাকে এই জায়গায় পৌঁছতে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে সেটা অজানাই থেকে যায়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আক্রম নিজের ক্রিকেট খেলা শুরুর দিনগুলির কথা প্রকাশ্যে এনেছেন যখন তার কাছে ক্রিকেট খেলা বজায় রাখার মতো উপযুক্ত অর্থও ছিল না।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি বোলার বলেন, “সেই সময় প্রাক্তন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার খালিদ মাহমুদ আমার খেলা দেখেছিলেন এবং তারপর আমার বোলিং থেকে তিনি লাহোরের একটি ক্লাবে আমাজে অন্তর্ভুক্ত করেন। আমি তখন সসংকোচে তাকে বলেছিলাম যে ক্লাবে যোগ দেওয়ার জন্য আমি মাসে ১০০ টাকাও দিতে পারব না। কিন্তু তিনি তখন আমাকে সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে না করে এবং খেলায় মনোযোগ দিতে বলেন। কিছুদিন সেখানে অনুশীলনের পর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে একটি ক্যাম্প চলাকালীন, আমি জাভেদ মিয়াঁদাদের সামনে বোলিং করার সুযোগ পাই এবং সেই সময় জাভেদ ভাই আমার বোলিং দেখে খুব খুশি হন।”
এরপর এক মাসের মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ওয়াসিম আক্রম সুযোগ পান এবং তখন তার টিম ম্যানেজার তাকে ৩০০০ টাকা দেন যা আক্রমের মতে সেই সময় তার জন্য খুব বেশী ছিল। তার বয়ান অনুযায়ী তার বাবা তাকে প্রতি মাসে খরচ করার জন্য মাত্র ২০০ টাকা করে দিতে পারতেন। অনুপ্রাণিত হয়ে আক্রম ওই প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৭ উইকেট নেন
এর পরের ঘটনা অবশ্য সকলেরই জানা। এরপর ওয়াসিম আক্রমের কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত ছিল ১৯৯২ বিশ্বকাপ ফাইনাল যেখানে ইমরান খানের নেতৃত্বে ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। সেই ফাইনাল ম্যাচেও আক্রম ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হয়েছিলেন।