বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াং জেমিন (Jiang Zemin) বুধবার ৯৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি লিউকেমিয়া এবং একাধিক অঙ্গ ব্যর্থতায় মারা গেছেন। ১৯৮৯ সালে তিয়ানামেন বিক্ষোভের পর ক্ষমতায় বসেন তিনি। এর পর এক দশকের দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই। চিনের জাতীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জিয়াং তার নিজ শহর সাংহাইয়ে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৪ মিনিটে মারা যান। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি, সংসদ, মন্ত্রিপরিষদ এবং সামরিক বাহিনী তার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে চিনের জনগণের উদ্দেশে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে, কমরেড জিয়াং জেমিনের মৃত্যু আমাদের দল এবং সেনাবাহিনী ও সব জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।’
বিবৃতিতে জিয়াং জেমিনকে ‘প্রিয় কমরেড’ নলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ওই বিবৃতিতে জিয়াংকে একজন অসামান্য নেতা, একজন মহান মার্কসবাদী, রাষ্ট্রনায়ক, সামরিক কৌশলবিদ এবং কূটনীতিক ও কমিউনিস্ট যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জিয়াং এমন একটি সময়ে মারা গেলেন যখন চিন ভয়ংকর খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে করোনাভাইরাস বিধি-নিষেধবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। চীন জিরো কভিড নীতির কারণে তীব্র অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়েও যাচ্ছে।
পিপলস ডেইলি, সিনহুয়াসহ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ওয়েবসাইট শোকে কালো এবং সাদা রং করা হয়েছে। এ ছাড়াও চীনের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবোতে অসংখ্য ব্যবহারকারী জিয়াংয়ের মৃত্যুকে একটি যুগের শেষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।