বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ( Recruitment Scam) গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের একের পর এক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী। আপাতত শ্রীঘরের ঘানি টেনেই দিন কাটছে তাদের। প্রসঙ্গত বিগত ৫ মাস থেকে জেলেই রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শাসক দলের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee )। জেলেই বন্দি রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও (Manik Bhattacharya)। বারংবার জামিনের আর্জি জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি তারা। একাধিক অভিযোগের দায়ে রীতিমতো জর্জরিত এই দুই হেভিওয়েট ব্যক্তি। এরই মধ্যে এবার নয়া অভিযোগের দায়ে জড়ালেন এই দুইজন।
অনলাইনে পড়ুয়া ভর্তি করতে বেসরকারি বিএড ও ডিইএলএড কলেজ থেকে যেমন কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল, ঠিকই একই ভাবে টাকা নেওয়া হয় বেসরকারি আইন এবং ফার্মাসি কলেজের ক্ষেত্রেও। কেন্দ্রীয় এজেন্সি তরফে করা হয়েছে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি। ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগের তির পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের দিকে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তদন্ত চলাকালীন মানিককে জেরা করেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে এবং মানিকের বয়ান অনুযায়ী তাতে জড়িত রয়েছেন পার্থও। প্রসঙ্গত, এসএসসি এর (SSC) মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ এবং তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডি-র মামলায় বুধবার বিচার ভবনের সিবিআই (পিএমএলএ) বিশেষ আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি হয়। তখনই তার বিরুদ্ধে বেসরকারি আইন ও ফার্মাসি কলেজ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন ইডি আধিকারিকরা।
পার্থ ও অর্পিতার বিরুদ্ধে মামলায় ইতিমধ্যে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । সম্প্রতি চার্জশিটের সঙ্গে প্রায় ১৪ হাজার নথিও জমা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার আদালতে পার্থর আইনজীবী বলেন ‘‘তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। নতুন কোনও তথ্য উঠে আসেনি। ইডি সম্প্রতি মামলার যে-নথি জমা দিয়েছে, তার অধিকাংশ জায়গা অস্পষ্ট।’’ তবে এদিন পার্থের আইনজীবীর দ্বারা প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিনের জন্য কোনও আবেদন পুনরায় আদালতে জানানো হয় নি ।