রয়েছে সব হিসেব! বিচ্ছেদের পর প্রেমিকাকে কিনে দেওয়া সর্দি-কাশির ওষুধের দাম ফেরত চাইলেন প্রেমিক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রেম (Love) হল এমনই একটি পর্যায় যেটিতে হাবুডুবু খেয়ে মানুষ যেমন একের পর এক দুঃসাহসিক কাজ করে ফেলতে পারে ঠিক তেমনি প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটলেও একাধিক নজিরবিহীন ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে আসে। তবে, এবার এমন এক “হিসেবি” প্রেমিকের প্রসঙ্গ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে যাঁর কর্মকাণ্ডে হুঁশ উড়েছে সবার। এমনিতেই বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রেমিক-প্রেমিকা সংক্রান্ত একাধিক খবর সামনে আসে। তবে, এই খবরটি জেনে নিঃসন্দেহে অবাক হয়েছেন সকলে।

জানা গিয়েছে, এবার বিচ্ছেদের পর প্রেমিকাকে কিনে দেওয়া সর্দি-কাশির ওষুধের দাম ফেরত চাইলেন প্রেমিক। হ্যাঁ, শুনে অবাক হয়ে গেলেও এবার ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে। এমনকি, ওই ঘটনার জেরে স্তম্ভিত হয়ে গেছেন ওই প্রেমিকাও। বিচ্ছেদের পর প্রেমিকের এহেন পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেবের প্রসঙ্গটি তিনি নেটমাধ্যম মারফত সামনে আনেন। এমতাবস্থায়, হাওয়াই দ্বীপের বাসিন্দা ওই তরুণীর এহেন পোস্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটাগরিকদের।

মূলত, সম্প্রতি জ্যাকি লি নামের ওই তরুণী জানিয়েছেন যে, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা একে অপরকে চিনতেন। আর সেখান থেকেই গড়ে উঠেছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বও। সেই সময়েই তিনি একদিন প্রবল ঠান্ডায় অসুস্থ বোধ করায় তাঁর প্রেমিককে ওষুধ কিনে দিতে বলেছিলেন। এদিকে, প্রেমিকার শরীর খারাপে চিন্তিত হয়ে ৭ ডলার খরচ করে ওষুধও কিনে দেন প্রেমিক। যদিও, বিচ্ছেদের পর নাকি সেই টাকা তাঁর কাছে ফেরৎ চেয়ে নেন ওই যুবক।

এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিওর মাধ্যমে জ্যাকি জানান, “একবার আমি খুব অসুস্থ বোধ করছিলাম। সেই সময়ে আমার প্রেমিককে জিজ্ঞাসা করি যে, সে বাড়ি যাওয়ার পথে আমাকে কিছু ওষুধ কিনে দিতে সক্ষম হবে কি না।” তারপরেই তিনি জানান, প্রেমিক সত্যিই তাঁর জন্য ওষুধ কিনে আনেন। যার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। কিন্তু, পরে ওই ওষুধের মূল্য তিনি ফেরত চান বলেও দাবি করেন ওই তরুণী।

AA14GFlD

এদিকে, মোট ৪৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপটি ইতিমধ্যেই তুমুলগতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। এমতাবস্থায়, জ্যাকি জানান যে, এখন আর তাঁরা একসঙ্গে থাকেন না। কিন্তু এই ঘটনা আজও মনে রেখেছেন তিনি। এদিকে, এহেন ভিডিও সামনে আসার পরই সেখানে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে মজাদার মন্তব্য করলেও অধিকাংশজন আবার নিজেদের সাথে ঘটা ঠিক এইরকমই কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর