বাংলাহান্ট ডেস্ক : অতীতে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden) থেকে গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে বহুবার। কিন্তু এবার অভিযোগ উঠল দুষ্প্রাপ্য মেহগনি ও চন্দন গাছ চুরির। এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। চলতি মাসই সম্ভাবনা রয়েছে শুনানির।
শতাব্দি প্রাচীন বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে শ্বেত চন্দন পাচারের অভিযোগ উঠেছিল এর আগেও। এখানে কর্মরত কর্মীদের দাবি ছিল, শুধুমাত্র গাছ কেটে ফেলাই হয়নি, যে জায়গায় গাছটি ছিল সেটি মুছে দেওয়ার জন্য গাছের গোড়া থেকে ইট ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাইও করে দেওয়া হয়।
হাওড়া সিটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে এবারও তেমন কোন কাজ করা হয়েছে কিনা। কর্মীদের একাংশ দাবি করেছেন, কর্তৃপক্ষ যদি ওই জায়গাটিতে খনন করে তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে। পুলিশে বিষয়টি নিয়ে প্রথম অভিযোগ করেন বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রাতভ্রমণকারীরা। এরপর চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয় কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রীকেও।
প্রায় ১৪০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে। কয়েক বছর আগে গাছ শুমারি শুরু করেছিলেন তৎকালীন বোটানিক্যাল গার্ডেনের যুগ্ম অধিকর্তা অরবিন্দ প্রামাণিক। সেই সময় প্রতিটি গাছের গায়ে লেখা হয় নম্বর। নম্বরের প্রেক্ষিতে সমস্ত তথ্য রাখা হয় কম্পিউটারেও। সেই তথ্য খতিয়ে দেখে এই ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
পূর্বেও একটি দামি ও দুষ্প্রাপ্য মেহগনি গাছ কেটে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। হাওড়া আদালতে সেই সময় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। এইরকম ভাবে ঘন ঘন গাছ চুরির ঘটনা রোধ করার জন্য আবেদনকারীরা আর্জি জানিয়েছেন কোর্টে।