বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিনে (China) করোনা রোগীর সংখ্যা দিন প্রতি দিন বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন শহরে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করেছে জিন পিং সরকার। করোনার কঠোর বিধিনিষেধের প্রতিবাদে চিনে চলেছে প্রবল বিক্ষোভ। তারপই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।সাংহাই ও গুয়াংঝৌ শহরের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। দুই শহরেই করোনার সংক্রমণ বাড়তির দিকে। রাজধানী বেজিংয়ে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা গেলে বাড়িতেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চংকিং শহরেরও কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে চিনের জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি বাড়িতে আগুন লেগে ১০ জন নিহত হন। অনেকের বিশ্বাস, চলমান করোনা বিধিনিষেধের জেরেই ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকেই বিভিন্ন শহরে করোনা বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। বিক্ষোভ দমন করতে পুলিস ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে বলে জানা গেছে।চিনের করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উপপ্রধানমন্ত্রী সান চুনলানের একটি বিবৃতি দিয়ে বিধিনিষেধ শিথিলের এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, করোনার অমিক্রন ধরন দুর্বল হয়ে পড়ায় ভাইরাসটি দমনে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে।
করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর অনেকেই বেশ খুশি। তাঁদের একজন গুয়াংঝৌ শহরের সান ইয়াৎ-সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক লিজিন হং। তিনি বলেন, ‘শহরটি পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে যেতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে আবার পুরোনো গুয়াংঝৌ শহর দেখতে পাব ভেবে ভালো লাগছে।’
করোনা মহামারি শুরুর পর সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখেছে চিনে। গতকাল বুধবার দেশটিতে সর্বোচ্চ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। আর দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ২০০ জনের বেশি। তবে ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চিনে করোনার মৃত্যুহার নিয়ে অনেকের সন্দেহ রয়েছে। জিন পিং সরকারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি ১০ লাখে ৩ জন করোনায় মারা গেছেন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১০ লাখে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার জন। আর ব্রিটেনে এই সংখ্যাটা ২ হাজার ৪০০।