বয়স একটি সংখ্যা মাত্র! ৮৭ বছর বয়সে দ্বিতীয়বারের জন্য M.A. পাশ করে নজির গড়লেন এই বৃদ্ধা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মনের জোরের কাছে বয়স নেহাতই একটা সংখ্যা মাত্র। আর এই আপ্তবাক্যকেই ফের একবার প্রমাণ করে দেখালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক বৃদ্ধা। যিনি ৮৭ বছর বয়সেও দ্বিতীয়বারের জন্য M.A. পাশ করে সকলের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এমনকি, ইতিমধ্যেই তাঁর এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও (Video) ভাইরাল (Viral) হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যেখানে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে, জীবনের এই সময়টাতে যখন বাকিরা বার্ধক্যের কাছে মাথা নত করে দেন ঠিক সেই সময়ে এই বৃদ্ধা মনের জোরকে সম্বল করে এক নজির গড়েছেন। মূলত, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই কানাডিয়ান বৃদ্ধার নাম হল ভার্থ শানমুগানাথন। তিনি ৮৭ বছর বয়সে দ্বিতীয়বারের জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে সমগ্ৰ বিশ্বের মধ্যে এক রেকর্ড তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই তাঁকে অন্টারিও আইনসভায় সম্মানিতও করা হয়। আর সেই ভিডিওটিই তুমুল ভাইরাল হচ্ছে।

   

৮৭ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা ফের M.A. পাশ করেন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পড়াশোনার প্ৰতি ভার্থ শানমুগানাথনের ঝোঁক সবসময়ই ছিল। এর আগে ৫০ বছর বয়সে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তারপরে, ৮৭ বছর বয়সে, তিনি ফের তাঁর দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এমতাবস্থায়, তিনি সকলের কাছেই এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।

ভাইরাল হয়েছে ভিডিও: ইতিমধ্যেই বিজয় থানিগালাসাম তাঁর ইনস্টাগ্রামে ৮৭ বছর বয়সী এই বৃদ্ধার কৃতিত্বের ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। এমতাবস্থায়, জানিয়ে রাখি যে, বিজয় হলেন স্কারবোরো-রুজ পার্কের প্রাদেশিক সংসদ সদস্য এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিনিস্ট্রির সংসদীয় সহকারী। এদিকে, ভাইরাল ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ভার্থ আম্মা সারা জীবন ধরে চারটি ভিন্ন মহাদেশে পড়াশোনা করেছেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কবেক কলেজে ৫০ বছর বয়সে তাঁর প্রথম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর ২০০৪ সালে তিনি কানাডায় চলে যান।”

পাশাপাশি, সেখানে আরও বলা হয়, “২০১৯ সালে, ভার্থ আম্মা জানতে পেরেছিলেন যে, ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি সিনিয়রদের জন্য একটি মাস্টার্স কোর্স শুরু করছে। তাঁর মেয়ে তাঁকে এই ব্যাপারে উৎসাহিত করেন।” এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি, ওই বৃদ্ধার ইচ্ছেশক্তি এবং মনের জোরকে কুর্ণিশও জানিয়েছেন সকলে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর