বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (TET Scam) ইডির (ED) ইতিমধ্যেই চার্জশিট করেছে। সেই চার্জ শিটে বিস্ফোরক দাবি করলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আদালতে মানিক ভট্টাচার্জের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে জানানো হয়েছে, জনৈক ঘোষবাবুকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। এমনকী এই ঘোষবাবুকে ঘুষ দিয়ে ২০১৪ সালের টেট পাশ করেছেন ৩২৫ জন।
আদালতকে ইডি জানিয়েছে, তাপস মণ্ডলকে জেরা করার সময় এই জনৈক ঘোষবাবুর নাম বারবার উঠে এসেছে। মোট ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়ে তিনি ১০ জনকে প্রাথমিকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে তাপস। ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে তাদের চাকরি চলে গিয়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, যে ৩২৫ জনকে অবৈধভাবে পাশ করানো হয়েছিল তাদের তালিকা তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন তাপস মণ্ডল। তবে এই ঘোষবাবুর আসল নাম কী, বা তাঁকে ডেকে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কি না তা জানা যায়নি।
তদন্তে নেমে মানিক ভট্টাচার্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও বিনিয়োগ বাবদ ৭.৯৩ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্য, মানিকবাবুরস্ত্রী-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে এই দুর্নীতিতে এখনো পর্যন্ত ১১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। তবে ইডির আধিকারিকদের প্রদান লক্ষ ওই জনৈক ঘোষ বাবু। তাঁকে খু্জে পেলে এই রহস্যের অনেকটাই সমাধান হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।