বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে তুঙ্গে বঙ্গের রাজনৈতিক তরজা। শাসক দলকে বিঁধছে গেরুয়া শিবির, অন্যদিকে ঘাসফুলের নিশানায় স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি। চলছে অভিযোগের তীর ছোড়াছুড়ি। এরই মধ্যে এক বিপরীতমুখী ঘটনা নিয়ে হাজির বিজেপি শিবির। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee ) সমালোচনা ও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari ) প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি ! ঠিক এমনই এক অডিও টেপ ভাইরাল করে শাসককে বিঁধল বিজেপি।
ঘটনার সূত্রপাত কোন্নগরের ( Konnagar ) দুই তৃণমূল নেতার (TMC Leader) কথোপকথনকে ঘিরে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সম্প্রতি মারিশদা পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার নির্দেশ। ঠিক এমনই এক অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছে। যা প্রকাশ্যে এনে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দাবি, ওই অডিও টেপে কথোপকথনের গলা দুটি কোন্নগরের দুই তৃণমূল নেতার। তার আরও দাবি, অডিওর মহিলা কণ্ঠটি কোন্নগরের নবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেত্রী শিবানী দত্ত ও পুরুষ কণ্ঠটি শাসক দলেরই অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মজুমদারের।
অডিওতে কাঁথির মারিশদার তিন তৃণমূল নেতৃত্বকে ইস্তফা দিতে বলা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে, শুধু তাই নয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তেমন একটা সমালোচনা করেন না, এমন বিস্ফোরক মন্তব্যও শোনা গিয়েছে ওই অডিওতে।
এই অডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে, শুরু হয়েছে চাপানোতর। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পাপ্পু সিং এই অডিও টেপ প্রসঙ্গে বলেন, “নবগ্রামের মানুষ বলছে এটা প্রধান ও অঞ্চল সভাপতির গলা। তারা মনের কথা বলেছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না, কারণ প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। মালিকের বিরুদ্ধে সামনাসামনি বললে চাকরি চলে যাবে।” অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি মানতে একেবারেই নারাজ শাসক শিবির।
অডিও প্রসঙ্গে ঠিক কি মন্তব্য করল ওই দুই তৃণমূল নেতৃত্ব?
এ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের নেতা সম্বোধন করে নবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিবানী দত্ত বলেন, “ওই অডিও আমি শুনেছি, কিন্তু এটা আমার গলা নয়।”
অনদিকে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার অডিও প্রসঙ্গে বলেন, “অডিও আমি শুনিনি। তাতে কী বলা হয়েছে জানি না।আমি দল করি, অভিষেকের নামে কেন কিছু বলতে যাব! প্রধানের সঙ্গে এমন কোনও কথা বলিনি যেটা ভাইরাল হবে। প্রধান কার সঙ্গে কী কথা বলেছেন সেটা তিনিই বলতে পারবেন।”
অডিওর সত্যতা সামনে না এলেও ইতিমধ্যেই সেই অডিওকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা