বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি বলিউডের ‘গ্রিক গড’। বয়স তাঁর কাছে এসে যেন থমকে যায়। অভিনয় থেকে নাচের স্টেপ, সবেতেই ছক্কা হাঁকান তিনি। মধ্য চল্লিশ পেরিয়েও তাঁর আবেদন যেকোনো নারী হৃদয়ে ঝড় তুলতে সক্ষম। তিনি হৃতিক রোশন (Hrithik Roshan)। বাবা ইন্ডাস্ট্রির নামী পরিচালক হলেও তাঁর ছত্রছায়ায় না থেকে নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন তিনি। এখনো তাঁর স্টারডম রয়েছে আগের মতোই।
কিন্তু একথা জানলে অবাক হবেন, আজকের হৃতিক কিন্তু চিরকাল এমনটা ছিলেন না। এমন একটা সময় ছিল যখন তাঁকে নিয়েও ঠাট্টা মশকরা করা হয়েছে। কোনো বন্ধুও ছিল না তাঁর। এমনকি তাঁকে এও বলা হত যে তিনি কোনোদিন অভিনেতা হতে পারবেন না।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবনের এক কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন হৃতিক। তিনি জানান, স্কুল জীবনে তাঁর প্রেমিকা তো দূর, কোনো বন্ধুও ছিল না। কারণ তোতলামির সমস্যা ছিল হৃতিকের। তিনি বলেন, “আমি খুব লাজুক ছিলাম, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে কাঁদতাম। ওই সময়টা খুব কষ্টকর ছিলাম। তার উপরে চিকিৎসকরা বলেই দিয়েছিলেন যে আমি কোনোদিন অভিনেতা হতে পারব না।”
হৃতিক এও জানান, তাঁর মেরুদণ্ডেও কিছু সমস্যা ছিল যে কারণে চিকিৎসকরা বলেছিলেন তিনি কোনোদিন নাচতে পারবেন না। রাতের পর রাত জেগে কাটাতেন হৃতিক। মনে হত সবটাই হয়তো দুঃস্বপ্ন। ওই দিনগুলো মনে করলেও এখন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
তবে এখন ঈশ্বরকে তিনি ধন্যবাদ জানান ওই সমস্যাগুলো দেওয়ার জন্য। কারণ নিজের কষ্ট, যন্ত্রণা থেকেই শিখেছেন হৃতিক। তাঁকে বলা হয়েছিল, তিনি কোনোদিন অভিনেতা হতে পারবেন না। কোনোদিন নাচচেও পারবেন না। সবাইকে ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছেন হৃতিক। আর তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। হৃতিকের কথায়, রাতের পরেই সকাল আসে। যন্ত্রণা থেকেই আরো শক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হৃতিককে শেষবার দেখা গিয়েছে ‘বিক্রম বেধা’ ছবিতে। আগামীতে ‘ফাইটার’ ছবিতে দেখা মিলবে গ্রিক গডের। আদ্যোপান্ত অ্যাকশন ঘরানার ছবিতে হৃতিকের বিপরীতে দেখা যাবে দীপিকা পাডুকোনকে।