বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার যে রূপ দেখেছিল গোটা ফুটবল বিশ্ব, আজ সেই রূপকে কাতারের মরুভূমিতে কবর দিয়ে দিলো আর্জেন্টিনা। যে ক্রোয়েশিয়ার পরিচিত ছিল নিজেদের হিমশীতল ডিফেন্সের জন্য, পিছিয়ে গিয়েও ফিরে আসার জন্য, আজ সেই দলটাই অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করলো লা অ্যালবিসেলেস্তেদের সামনে।
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রূপপর্বে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ ফলে হারিয়েছিলেন মদ্রিচরা। আজ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৩-০ ফলে উড়িয়ে সেই হারের বদলা নিলো লিওনেল স্কালোনির দল। ক্রোয়েশিয়া খারাপ খেলেছে এমন নয়, বরং শুরুর দিকে তারা নিজেদের স্বভাববিরুদ্ধ খেলা খেলে আর্জেন্টিনাকে কিছুটা চাপেই রেখেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় রেফারির একটি সিদ্ধান্তে।
৩২ মিনিট নাগাদ বল গোলের দিকে ঠেলে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচের গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন জুলিয়ান আলভারেজ। বল গোললাইন অতিক্রম করার আগেই ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্স সেটি ক্লিয়ার করে কিন্তু লিভাকোভিচ ফাউল করেছেন এমন অভিযোগ দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি উপহার দেন রেফারি। দুরন্ত এক শটে দেশকে এগিয়ে দেন মেসি। এর ঠিক পাঁচ মিনিট পরে প্রতিআক্রমণে একাই বল নিয়ে বিপজ্জনক ভাবে ক্রোয়েশিয়ার পেনাল্টি বক্সে ঢুকে আসেন সেই আলভারেজ। ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্স বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয়, এবং ২-০ করে যান আলভারেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়া কিছুটা হতোদ্যম হয়ে পড়ে। চেষ্টা করেও কোনও গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে ব্যর্থ হন মদ্রিচরা। উল্টে ৬৯ মিনিট নাগাদ টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার গার্দিওলকে নাস্তানাবুদ করে বক্সে ক্রস রাখেন মেসি। সেই ক্রস থেকে নিখুঁত ফিনিশে টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোলটি করে ক্রোয়েশিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন আলভারেজ।
এর ফলে ষষ্ঠ বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে ১১ টি গোল করে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলসংগ্রাহক হয়ে গেলেন লিও মেসি। চলতি বিশ্বকাপে ৩বার একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করলেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা নিজের অধরা স্বপ্ন পূরণ করার আরও একটি সুযোগ পেয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।