বাংলা হান্ট ডেস্ক: ঠিক ৮ বছর আগে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের (Malaysia Airlines) MH370 বিমানটি। তবে, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা এবার সামনে এল। ইতিমধ্যেই একটি রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে, ওই বিমানের পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে ডুবিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যার জেরে বিমানটিতে থাকা ২৩৯ জন যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটে। এদিকে, এই ঘটনায় সমগ্ৰ বিশ্বজুড়েই সাড়া পড়ে যায়। পাশাপাশি, এহেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানও শুরু হয়।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, MH370-র যে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, তা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সমুদ্রে পড়ার সময় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারটি নিচের দিকে মুখ করে ছিল। এমতাবস্থায়, পরিকল্পিতভাবেই বিমানটি ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদিকে, ইন্ডিপেনডেন্টের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৫ দিন আগে মাদাগাস্কারের এক জেলের বাড়িতে বোয়িং ৭৭৭-এর ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল।
এটি একটি প্রমাণের টুকরো: এমতাবস্থায়, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, পাইলটের ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটিকে ডুবিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে এটি প্রমাণের একটি টুকরো। অপরদিকে, ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার রিচার্ড গডফ্রে এবং MH370-র এই ধ্বংসাবশেষের আবিষ্কারক ব্লেইন গিবসন নামের একজন আমেরিকান দাবি করেছেন যে ওই বিমান দুর্ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়।
তাতালি নামের মৎস্যজীবী ধ্বংসাবশেষটি খুঁজে পান: পাশাপাশি, রিচার্ড গডফ্রে আরও জানান, দুর্ঘটনার সময়ে বিমানটির গতিও অত্যন্ত বেশি ছিল। কারণ, যিনি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি বিমানটিকে যতটা সম্ভব বেশি টুকরো করতে চেয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ফার্নান্দো ঝড়ের কারণে ২০১৭ সালে মাদাগাস্কারের উপকূলে ভেসে যাওয়ার ফলে তাতালি নামে এক জেলে এই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছিলেন।
এমতাবস্থায়, তাতালি গত পাঁচ বছর ধরে ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা তাঁর কাছে রেখেছিলেন। পাশাপাশি, তাঁর স্ত্রী ওই দরজাটি একটি ওয়াশিং বোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “জরুরি অবতরণের সময় পাইলটরা সাধারণত জলে ল্যান্ডিং গিয়ার নিচে নামিয়ে রাখেন না। কারণ এতে বিমানটির একাধিক টুকরো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।” এদিকে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এর ফলে বিমানটি দ্রুত ডুবে যেতে পারে। ফলে যাত্রীদের মৃত্যুর সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।