বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চলতি বিশ্বকাপে পরপর বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো দলকে রুখে দিয়ে প্রথম আফ্রো আরবিয়ান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল মরক্কো। মাত্র ৫ মাস আগে দায়িত্ব নিয়েছিলেন মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুই। এই স্বল্প সময়ে একটা দলের মধ্যে খুব বেশি পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মরক্কোর ডিফেন্সকে ইস্পাত কঠিন করে তুলেছিলেন তিনি।
সেই ডিফেন্সে প্রথমবার চিড় ধরলো সেমিফাইনালে এসে। বিশ্বকাপে এর আগের পাঁচটি ম্যাচে কোনও প্রতিপক্ষের ফুটবলার মরক্কো ডিফেন্সকে ভেদ করে গোল করতে পারেননি। কিন্তু গতকাল রাতে প্রথমার্ধে ফ্রান্সের লেফট ব্যাক থিও হার্নান্দেজ ইয়াসিন বোনোকে পরাস্ত করলেন একটি আক্রোব্যাটিক শটে। প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ ও বর্তমানে এসি মিলানের হয়ে খেলা এই তারকা ফুটবলারের মুভমেন্টকে রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল মরক্কো। ফলে এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের জন্য আফ্রিকার দেশটি পিছিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৯ মিনিটে ফ্রান্সের দলগত ভাবে তৈরি করা একটি মুভ দেখে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে এসে ব্যক্তিগত দক্ষতায় ডিফেন্ডারদের নাস্তানাবুদ করে শট নিতে যান এমবাপ্পে। কিন্তু সেই শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গতিপথ হালকা পরিবর্তন করে ৪৪ সেকেন্ড আগে মাঠে নামা স্ট্রাইকার র্যান্দেল কোলো মুয়ানীর পথে আসে এবং ম্যাচে নিজের প্রথম টাচেই মরক্কোর গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বিশ্বকাপের ফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করে ফ্রান্স।
মরক্কো যে ভালো ফুটবল খেলতে পারেনি এমনটা নয়। বরং যারা কালকে খেলা দেখেছেন তাদের অনেকেই বলবে যে ফ্রান্স নিজেদের সেরা ফুটবলটা খেলতে পারেনি এবং মরক্কো রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছিলো ম্যাচের শুরু থেকেই। কিন্তু বড় মঞ্চে ফ্রান্সের অভিজ্ঞতার সামনে হার মানলেন দুর্দান্ত ফুটবল খেলা আমরাভাট, জাওয়াদ এল ইয়ামিকরা। এর আগে বিশ্বকাপের ইতিহাসে টানা দুইবার খেতাব নিজেদের নামে করতে পেরেছে মাত্র দুটি দল। ব্রাজিল এবং ইতালির সঙ্গে নিজেদের নাম জুড়ে নেওয়ার পথে দিদিয়ের দেশঁ-র পথে কথা এখন শুধুমাত্র একটাই নাম। সেটি হলো লিওনেল মেসি।
এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স এবং আর্জেন্টিনা। সেই সাক্ষাতে ৪-৩ ফলে জয় পেয়েছিল ফ্রান্স। জোড়া গোল করেছিলেন এমবাপ্পে। এবার কি আর্জেন্টিনা বদলা নেবে? নাকি ফ্রান্স নিজেদেরকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাবে! উত্তর পাওয়া যাবে রবিবার রাতে।