বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর, দিনকয়েক পরই আসতে চলেছে নতুন বছর। তবে গরুপাচার মামলায় কিছুতেই যেন শ্রীঘরের মেয়াদ শেষ হচ্ছেনা কেষ্টর। হাজারো তপস্যা, আর্জি জানিয়ে এবারেও মিলল না জামিন। নেপথ্যে সেই প্রভাবশালী তকমা! প্রভাবশালী হওয়াই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে কেষ্টর জামিনের পথে! ‘অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী’, এদিন জামিন না দিয়ে আদালতে একথা বললেন হাইকোর্টের (High Court ) বিচারপতি।
জামিন প্রসঙ্গে ঠিক কী মন্তব্য করলেন বিচারপতি? শুক্রবার মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর (Justice Bagchi) ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘শুধু কয়েকজন সাক্ষী নন এক্ষেত্রে বিচারকও হুমকির শিকার! সুতরাং অনুব্রত মণ্ডল অনেক বেশি প্রভাবশালী এটা স্পষ্ট।’
এর পরই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আইনজীবী কপিল সিব্বল এনামুল, সতীশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এই মামলায় অভিযুক্ত এনামুল হক জামিন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট থেকে। জামিন দেওয়া হয়েছে সতীশ কুমারকেও। যিনি এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এরপর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী পাল্টা বলেন, ‘এটা বাস্তব যে যাঁরা জামিন পেয়েছেন, তাঁদের থেকে মামলাকারী অনেক বেশি প্রভাবশালী।’
এরপর ফের অনুব্রতর আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলি কেস ডায়রিতে লেখা থাকলেও প্রমাণিত সত্য নয়। প্রমাণ হলে তখন জামিন দেবেন না। এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডল মূলচক্রী নন। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়নি সিবিআই।’ তখন সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে জানিয়ে দেয়, লালন শেখের মৃত্যুর পর এই মামলার তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাই এই অবস্থায় অনুব্রতের জামিন দেওয়াউচিত নয়।’
সমস্ত সওয়াল–জবাব শেষে জামিনের আবেদন করার পরও কেষ্টর আইনজীবী মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতে আর্জি জানান। সেইমতো মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর ঘোষনা করা হয়।