বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ক্রোয়েশিয়াকে একপ্রকার চূর্ণ করে বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য যোগ্যতাঅর্জন করেছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি এবং জুলিয়ান আলভারেজ দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সেমিফাইনালে লা অ্যালবিসেলেস্তেদের ৩-০ ফলে জয় এনে দিয়েছিল। এর আগে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে কোনওদিনও হারের মুখ দেখেনি আর্জেন্টিনা। চলতি বিশ্বকাপেও সেই রেকর্ডটা অব্যাহত রইল।
ওই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ম্যাচে আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটির সময় মাঠের মধ্যে নিজের ফুটবল দক্ষতার একটা অনন্যসাধারণ ঝলক দেখিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ডানউইং থেকে বল ধরে নিজের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট এবং চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার জস্কো গভর্ডিওলকে নিজের শরীরের দোলায় দুলিয়ে ধাঁধায় ফেলে দিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে এসে অসাধারণ একটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন।
বিশ্বকাপে অনেকের মতে ওটাই ছিল মেসির কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত। ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধেও তেমন কোনও মুহূর্ত তৈরি হবে কিনা সেটার উত্তর অবশ্য সময় দেবে। কিন্তু তার আগে সেমিফাইনালে যে ডিফেন্ডারকে মেসি নাস্তানাবুদ করেছিলেন সেই ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারের মুখেই শোনা গেল মেসির ভূয়সী প্রশংসা।
ওই মুহূর্তটির কথা ওঠায় ক্রোয়েশিয়ার তারকার ডিফেন্ডার যিনি ক্লাব ফুটবলে জার্মান ক্লাব আরবি লেইপজিগের হয়ে খেলেন তিনি বলেছেন, “আমি আগেও ক্লাব ফুটবলে মেসির বিরুদ্ধে খেলেছি। কিন্তু দেশের হয়ে মেসি যেন আরও মরিয়া হয়ে খেলছিল। ওই মুহূর্তটা আমার জন্য খুব একটা সুখকর ছিল না কিন্তু আমি ভবিষ্যতে পরবর্তী প্রজন্মকে বলতে পারব যে আমি ফুটবলের কিংবদন্তে লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলাম।”
মেসি দিনকয়েক আগেই নিশ্চিত করে দিয়েছেন যে রবিবারের ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচটি হতে চলেছে তার বিশ্বকাপ কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ। নিজের পরিচিত ছন্দেই সকলকে মুগ্ধ করে এবং দেশকে সর্বোচ্চ সম্মান এনে দিয়েই মাঠ ছাড়তে চান মেসি। আর্জেন্টিনার ফর্ম দেখে খুবই মনে হচ্ছে যে মেসির স্বপ্ন হয়তো আর অধরা থাকবে না।