তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ! দলীয় কর্মীরা বাঁশ রড নিয়ে পেটাল ব্লক সভাপতিকে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগেই অগ্নিগর্ভ মুুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। গতকাল শুক্রবার দফায় দফায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটল জেলা জুড়ে। জলঙ্গিতে পঞ্চায়েতের সদস্যর উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। অপরদিকে জঙ্গিপুরে আবার তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মারাত্মক আহত তৃণমূলের ক্ষেতমজুর সেলের ব্লক সভাপতি মইদুল ইসলাম। বর্তমানে জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

পুলিস সূত্রে খবর, দুই বুথে ভোটার ট্রান্সফরকে কেন্দ্র করে এদিন বিকেলে সংঘর্ষ বাঁধে রঘুনাথগঞ্জ থানার দফরপুর এলাকায়। এরপরই মইদুল ইসলামকে লাঠি বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে হানা যাচ্ছে। অভিযোগের তির নুরুল ইসলাম, নবাব সেখ, রবিউল হক মোস্তফ সেখ,বাবলু বিশ্বাসের দিকে। এরা প্রত্যকেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত।

এই বিষয়ে মইদুল ইসলাম জানান, ‘দুটো বুথে ভোটার ট্রান্সফর নিয়ে ঝামেলা হয়। সেখানেই আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তবে ভোটার ট্রান্সফারের বিষয়ে বিডিও-র সঙ্গে কথা হয়েছে। এসে দেখেও গিয়েছেন সরকারি লোকজন। এরপরই যাঁরা ভোটার ট্রান্সফার করছিল তাঁদের হুমকি দিতে থাকে বাবলু সহ তাঁর লোকজন। আমরা এর প্রতিবাদ করি। জানাই এটা তো আমাদের গনতান্ত্রিক অধিকার। প্রতিবাদ করাতেই আমাকে মারধর করতে শুরু করে ওরা। রড, উইকেট, ইট দিয়ে মারে। ওরা সংখ্যায় প্রাশ ১০-১২ জন ছিল। তারপরেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’

অপরদিকে আবার বাবলু বিশ্বাস বলেন, ‘কোনও মারধরের ঘটনাই ঘটেনি। ইচ্ছাকৃতভাবে অভিনয় করছে। অভিনয় করে বেডে শুয়ে আছে। ওর শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্নৎ নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। আমি ওকে মারিনি। ও একটা সরকারি নির্দেশিকা না মেনেই এক বুথ থেকে আর একটা বুথে ভোটারদের নাম ট্রান্সফর করছিল। এটার প্রতিবাদই আমরা করেছিলাম। ২১৩ নম্বর বুথের ভোটার কী ভাবে ২১২-তে যায়? তাঁর বাড়ি ২১৩-তে। এটাই জোর করে করাচ্ছিল ও। আমরা এর প্রতিবাদ করিছিলাম মাত্র।’ তবো গোটা বিষয় নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর