বাংলাহান্ট ডেস্ক: গৃহবধূদের জন্য সুখবর! এ বার বাড়ি বসেই মোটা টাকা আয় (Work from home) করতে পারবেন তাঁরা। নারী ক্ষমতায়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল নারীকে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী করে তোলা। এই কথাটি শোনা গেলেও বাস্তবে দেখা যায় যে নারীর উপার্জন করা অর্থ নানা দিকে খরচ হয়ে যাচ্ছে।
দেশের সিংহভাগ মহিলাই সঞ্চয় বা বিনিয়োগ নিয়ে তেমন সচেতন নন। অথচ সঠিক ভাবে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করলে যে কারও ভাগ্য বদলে যেতে পারে। তাঁরা হয়ে যেতে পারেন মোটা টাকার মালিক। এদিকে একজন মহিলা একটি পরিবারের মেরুদণ্ড। সংসারের খরচ বাঁচিয়ে সামান্য অর্থ জমানও। কিন্তু নিজে রোজগার করে তেমন বিনিয়োগ করেন না তাঁরা।
এই প্রতিবেদনে কয়েকটি উপায় জানাবো যার মাধ্যমে গৃহবধূরাও সহজেই মোটা টাকা উপার্জন করতে পারেন সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমে।
১. জরুরি প্রয়োজনের জন্য সঞ্চয়
ভারতের নানা প্রাচীন প্রবাদে রোজগারের অল্প একটি অংশ সঞ্চয় করার কথা বলা হয়েছে। সে ভাবেই সামান্য অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন গৃহবধূরাও। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর জনধন যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এটি ‘জিরো ব্যালেন্স’ অ্যাকাউন্ট। অর্থাৎ, প্রাথমিক ভাবে অথবা যে কোনও সময়ে কোনও টাকা না রাখলেও কোনও টাকা কাটবে না ব্যাঙ্ক। এর মাধ্যমে সঞ্চয় করে সামান্য সুদও পাওয়া যায়।
২. বিমা প্রকল্প
যে কোনও মানুষের জন্যই জীবন বিমা একটি জরুরি বিষয়। এটি করা থাকলে এর মেয়াদের মধ্যে গ্রাহকের মৃত্যু হলে তাঁর মনোনীত ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পাবেন। গৃহবধূদের জন্যেও এটি সমান ভাবে জরুরি। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় বিনামূলে জীবন বিমা দুর্ঘটনা বিমার সুবিধাও পাওয়া যায়। তাই এই যোজনার মাধ্যমে জীবন বিমাও করিয়ে রাখতে পারেন তাঁরা।
৩. বিনিয়োগ
বলা হয়, সঞ্চয়ের সঙ্গে বিনিয়োগও করা উচিত। কারণ মুদ্রাস্ফীতির ফলে সুদের হার দিন দিন কমতে পারে। এছাড়াও সঞ্চয় আমানতের থেকে সুদও বেরিয়ে যেতে থাকবে। তাই সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের জায়গায় ফিক্সড ডিপোজিট বা রেকারিং ডিপোজিটে টাকা রাখতে পারেন। ফলে অর্থ নিরাপদে থাকার পাশাপাশি সুদও বাড়বে। অল্প বয়স হলে ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডেও বিনিয়োগ করতে পারেন। পাঁচ থেকে দশ বছর বিনিয়োগ চালিয়ে গেলে ভাল মূল্য ফেরত পেতে পারেন।
৪. বাড়ি থেকে কাজ
গৃহবধূরা বাড়ি থেকেও নানা ধরনের কাজ করতে পারেন। যেমন ফ্রিলান্স লেখালিখি, গ্রাফিক ডিজাইনিং। অথবা গৃহশিক্ষকতা বা নাচ, গান শিখিয়েও রোজগার করতে পারেন গৃহকর্ত্রীরা।
সঠিক পথে অর্থ সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করার জন্য দরকার সঠিক জ্ঞান। ফলে এই বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। আজকাল ইউটিউবে নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান এমন জ্ঞানের ভিডিও আপলোড করে থাকে। এই ভিডিওগুলি থেকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে বিনিয়োগের দিকে এগোলে ভবিষ্যতে সমস্যা হবে না। এমনকী, যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতেও সামাল দেওয়া যাবে।