বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় শহীদদের (Indian Army Martyrs) স্ত্রীদের চাকরি নিয়ে বড় খবর শোনাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এ বার পুনর্বিবাহ করলেও সেনায় চাকরি করতে পারবেন শহীদ হওয়া সেনা আধিকারিকদের স্ত্রীরা। এর জন্য তাঁদের ‘শর্ট সার্ভিস কমিশন’ পরীক্ষায় বসতে হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে এ বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। সেই প্রস্তাব ভেবে দেখছে মন্ত্রক। এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে শহীদ আধিকারিকদের স্ত্রীদের সেনায় একটি বাড়তি মর্যাদা দেবে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এসএসসি-র টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল পদগুলিতে শহীদদের স্ত্রীদের জন্য পাঁচ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকে। যাঁরা প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণ করেন, তাঁদের ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকা হয়। কিন্তু বিগত বছরগুলিতে দেখা গিয়েছে, এই কোটায় বেশিরভাগ আসনই খালি পড়ে থাকছে। এর কারণ খুঁজতে জানা গিয়েছে, শহীদদের স্ত্রীরা পুনর্বিবাহ করলে তাঁরা এই কোটার সুবিধা পাওয়ার যোগ্য থাকেন না।
সেই কারণে অনেক শহীদের স্ত্রীই এই কোটায় আবেদনই করতে পারেন না। ব্রিটিশ আমল থেকেই সেনার ক্ষেত্রে এই নিয়ম চলে আসছে। এর আগেও এই নিয়ম সরানোর দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে। তবে সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটি একটি রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টের খসড়া সংসদে জমা দিয়েছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও শহীদের স্ত্রী পুনর্বিবাহ করলে তাঁকে সংরক্ষিত আসনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। বর্তমান সময়ে এই নিয়ম অপ্রয়োজনীয়। ফলে এই নিয়ম বদলানো দরকার। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আধিকারিকরা অল্প বয়সেই শহীদ হন। সেনার ওই পদগুলির জন্য যোগ্যতা পেয়ে চাকরি পেতে পেতে অনেক বছরই কেটে যায়। পরিবারের তরফে তাঁদের স্ত্রীদের পুনর্বিবাহ করে পুনরায় জীবন শুরু করতে বলা হয়।
কিন্তু বর্তমান নিয়মের ফলে পুনর্বিবাহ করলে তাঁরা শহীদ স্বামীর পদে চাকরি পাবেন না। যদিও বিবাহিত পুরুষ বা নারীর ক্ষেত্রে এসএসসি-তে চাকরি করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা এই নিয়মকে অপ্রয়োজনীয় ও বৈষম্যমূলক বলেছেন। যদিও সেনার তরফে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে মন্ত্রকের তরফে। ফলে আগামী দিনে এই নিয়মের পরিবর্তন হতেই পারে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সরকারের তরফে এই পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে যদি দেরি হয়, তাহলে শহীদদের স্ত্রীদের ক্ষেত্রে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা যেন বাড়িয়ে দেওয়া হয়।