বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। হাতে মাত্র গোনা কয়েকদিন। ইতিমধ্যেই আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সকল রাজনৈতিক দল। পাখির চোখ ২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন। জোর কদমে চলছে বঙ্গ জয়লাভের প্রস্তুতি। কিভাবে বাড়ানো যাবে জনসংযোগ, কোন কর্মসূচীতে মিলবে আশার ফল! সেই নিয়ে বিশ্লেষণ করতেই এখন ব্যস্ত রাম, বাম থেকে শুরু করে শাসক দল। এরই মাঝে ভোট পূর্বে এক অভিনব কর্মসূচী নিয়ে সকলকে চমক দিয়ে হাজির জোড়া ফুল শিবির।
এবার এক বিধায়কের (MLA) কাজ খতিয়ে দেখবেন দলেরই অন্য বিধায়ক। অর্থাৎ, যিনি যে জায়গার বিধায়ক, নিজের এলাকা ছেড়ে তাঁকে কাজ দেখতে যেতে হবে পাশের বিধানসভা এলাকায়। অনুরূপভাবে তাঁর কাজ দেখতে আসবেন অন্য কোনও এলাকার বিধায়ক। ঠিক একই ভাবে এক গ্রাম প্রধানের (Gram Pradhan) এলাকার কাজের বিবেচনা করবেন ওপর গ্রাম প্রধান। এরপর সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করে তার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে দলের ওপর মহলে।
বছর এখনো শেষ হয়নি, তবে নতুন বছর শুরুর আগেই অভিনব এই চিন্রাসুরু নিয়ে উপস্থিত রাজ্যের শাসক দল। সূত্রের খবর, নয়া এই কর্মসূচির ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ হিসাবে প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার একটা বিস্তীর্ণ অংশে সমীক্ষা শুরু করে দিতে বলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই জনসংযোগ পর্ব জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দু’মাসের ১০ দিন করে হতে চলেছে। গ্রাম, পাড়া বা সমাজের ৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মুখ থেকে এলাকার কাজের খতিয়ান শোনা হবে। পাশাপাশি নেওয়া হবে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের রিপোর্টও। এরই সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’ বা ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’-র মতো গ্রামে গিয়ে কর্মীদের বাড়িতে রাত কাটিয়ে এলাকার মানুষের কথা শোনা ও নতুন করে জনসংযোগের একটা বড় অংশও থাকছে কর্মসূচির মধ্যে।
এ বিষয়ে দলেরই এক নেতার বক্তব্য, ‘‘নিজে কী কাজ করেছি, সেটা লোককে বলতে গেলে অতিরঞ্জন হবেই। মানুষ যে পরিষেবা পেয়েছে, সরকারি কাজ যতটা হয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের কাছে সেটা শুনবেন অন্য এলাকার জনপ্রতিনিধি। তাঁর ক্ষেত্রেও একইভাবে যাচাই হবে। তাতে নিরপেক্ষতা থাকবে।”
এক কথায় সমস্ত তর্ক-বিতর্ককে রীতিমতো তুড়ি মেরে উড়িয়ে নিজ লক্ষ্যে অবিচল তৃণমূল। পুনরায় বঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের নিজেদের আধিপত্য কায়েম রাখতে মরিয়া শাসক দল। তাই এক্কেবারে ‘গ্রাস রুটে’ পৌঁছে মানুষের সাথে মাটির আচরণে উদ্যত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।