বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতীয় সংবিধান (Indian Constitution) অনুসারে ১৮ বছর বয়সকেই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বয়স ধরা হয়। কিন্তু কেরলের (Kerala) এক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, ওই বয়সেই কাউকে ‘সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়া উচিত নয়। ২৫ বছরের আগে কেউই পুরোপুরি পরিণত হয় না। এক মামলায় হাই কোর্টকে এমনই জানাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়।
কেরলের কোঝিকোড়ের এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের মেয়েদের হস্টেলে রাত সাড়ে ৯টার পরে কাউকে বাইরে বেরতে দেওয়া হয় না। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ কেরল হাই কোর্টের অভিযোগ দায়ের করেন এক ছাত্রী। জানা যাচ্ছে, ওই কলেজটি কেরল স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত। এই মামলাতেই আদালতে বিচারপতি দেবান রামাচন্দ্ররণের সিঙ্গল বেঞ্চে এমন যুক্তি দেখিয়েছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোনও কারণ ছাড়াই হস্টেলের গেট খুলে রাখলে তা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে, যদি তা যথাযথ বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা ছাড়া করা না হয়। বহু গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, পথ দুর্ঘটনা ও তার ফলে মৃত্যু, মাদকের ব্যবহার, আত্মহত্যার ও খুনের প্রবণতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে কিশোর বয়সেই সবচেয়ে বেশি থাকে। অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে, ১৮ বছর বয়সে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়াটা মারাত্মক ভুল।’ সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, পরিণতবয়স্ক হিসেবে চিহ্নিত করার বয়সেই যে মস্তিষ্ক পরিণত হবে এমন কোনও কথা নেই।
এই দাবির সপক্ষে উদাহরণ হিসাবে একাধিক চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। যা পেশ করে দাবি করা হয়েছে, কৈশোরের ওই বয়সে ঝুঁকিবহুল ড্রাইভিং থেকে সুরক্ষাবিহীন যৌনতা অথবা মাদক ব্যবহারের মতো নানা কাজ করার প্রবণতা বাড়ে।
আবেদনকারী পাল্টা দাবি করেন কোনও ভাবেই জরুরি দরকারেও রাত সাড়ে ৯টার পরে তাঁদের বেরতে দেওয়া হয় না। এই দাবি মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয় সত্যিই জরুরি প্রয়োজন হলে তা কর্তৃপক্ষ অবশ্যই বিবেচনা করে দেখে। হস্টেল ও কলেজে শৃঙ্খলা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি বলেই দাবি করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।