বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি যোগ্যরা। এর ফলে তৈরি হতে পারে জনরোষ। সেই ভয়ে গত শনিবার মুর্শিদাবাদের সালার থানার তৃণমূল পরিচালিত মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ জন সদস্য একসাথে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। সেই পদত্যাগের ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই এই ঘটনা নাটকীয় মোড় নিতে চলেছে।
জানা যাচ্ছে, ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ পত্র থেকে নাম তুলে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান সহ অন্য ৬ জন নিজেদের পূর্ব সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছেন। আবাস যোজনায় জনরোষের ভয়ে গতকাল ভরতপুর ২ বিডিও অফিসে পঞ্চায়েতের ১৭ জন সদস্য পদত্যাগ পত্র জমা দিতে যান। কিন্তু পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য বিডিও অফিসে তা গৃহীত হয়নি।
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত সদস্যরা মুখে জনরোষের কথা বললেও এই পদত্যাগের পিছনে রয়েছে তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও বিধায়কদের গোষ্ঠী কোন্দল। বিগত কয়েকদিন ধরে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল চরমসীমায় পৌঁছেছে।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, এই ১৭ জন সদস্য বিধায়কের নির্দেশেই ছুটির দিনে গণ ইস্তফা দিতে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, মুস্তাফিজুর রহমানের হাত রয়েছে পদত্যাগপত্র থেকে ১১ জন সদস্যের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে। জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পঞ্চায়েত সদস্যদের সাথে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য।
গত শনিবার পঞ্চায়েত সদস্যদের এই পদত্যাগ পত্র গৃহীত করা হয়নি। বিডিও আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের ত্রুটি সমাধানের জন্য সময় দিয়েছেন। স্থানীয় বিডিও আশিস মন্ডল বলেছেন, “সচিত্র পরিচয় পত্র ও শংসাপত্র সহ সচিবের মাধ্যমে পঞ্চায়েত সদস্যদের পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মানা হলেই গ্রহণ করা হবে ইস্তফা পত্র।”
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে তৃণমূলকে। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেছেন, “যা হচ্ছে পুরোটাই নাটক।” অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি শাখারভ সরকার জানিয়েছেন, “গোটা জেলা জুড়ে আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতি ঢাকার জন্য আই ওয়াশের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”