চিন-পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে সীমান্তবর্তী রাজ্যে সড়ক-সুড়ঙ্গ তৈরির পথে ভারত! রাখা যাবে মিসাইলও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত (India)। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন মাসেই বালিপাড়া-চারদুয়ার-তাওয়াংয়ের সেলা ও নপিচু সুড়ঙ্গের উদ্বোধন হওয়ার কথা। যদিও, অরুণাচলের এই সুড়ঙ্গ উদ্বোধনের আগে থেকেই এবার ভারতের সুড়ঙ্গের পরিকল্পনা ঘিরে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে ভারত সীমান্তের রাজ্যগুলিতে এমন কিছু সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা করছে, যে সুড়ঙ্গগুলিতে মিসাইল পর্যন্ত রাখা যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই একটি আন্ডারগরাউন্ড শেল্টার নির্মাণের কাজ শুরু করে ফেলেছে চিন। লাসার কাছে গোঙ্গার এয়ারবেসের নিকট চিন মাটির নিচের এই বম্ব-রোধক আশ্রয়টি তৈরি করে ফেলেছে।

শুধু তাই নয়, এটি ছাড়াও অরুণাচলে স্থিত নিমচি এয়ারপোর্টের কাছেও এমন একটি বেস তারা বানিয়ে ফেলেছে। এমতাবস্থায়, ভারতও শর্ট রেঞ্জ ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সমেত বিভিন্ন অস্ত্র মজুত করার লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক-সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এমনিতেই এখন চিন সীমান্তে অস্ত্র সজ্জা, ফাইবার নেটওয়ার্ক ও ইলেকট্রিসিটি সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়েছে।

এমতাবস্থায়, ভারতও নিজের সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিকাঠামো মজবুতির প্রক্রিয়া জোরকদমে চালাচ্ছে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই ভারতীয় কমান্ডারদের স্পট সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পরিলক্ষিত করে অনুমান করা হচ্ছে যে, আগামী দিনে সংগঠিত যুদ্ধ শুধুমাত্র দন্ডায়মান অস্ত্র দিয়েই জেতার চেষ্টা করা হবে। আর সেই লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করছে ভারত।

modi jinping 4
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারতের সঙ্গে চিনের ৩৪৮৮ কিলোমিটারের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (LOC) ওপারে অরুণাচল সীমান্তে চিন ক্রমশ কমিয়ে ফেলেছে তাদের বাড়তি ট্রুপ। যার ফলে তারা যে অস্ত্রযুদ্ধের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছে সেটা স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, চিনে জিনপিং ফের মসনদে বসতেই চিনা সেনার এহেন কৌশল দেখা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিনের সীমান্তের ওপারে ফারি জোংয়ে বাড়তি সেনা বসানো হয়েছে পিএলএ-র তরফে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর