ফের ভুয়ো নিয়োগ! পরেশ কন্যা অঙ্কিতার মতোই ভুয়ো চাকরি TMC বিধায়কের মেয়ের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও ভুয়ো চাকরির (Recruitment Scam) খবর বাংলায়। এবার ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর তালিকায় নাম তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) মেয়ের। জানা যাচ্ছে, তালিকায় নাম রয়েছে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ের। এসএসসি প্রকাশিত ভুয়ো চাকরি প্রার্থীর তালিকার ২১২ নম্বরে নাম রয়েছে রোশনারা বেগমের। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। চোপড়ার কালীগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষিকা রোশনারা।

জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সাল থেকে চাকরি করছেন তিনি। কিন্তু কমিশনের তালিকায় তাঁর থাকায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে বাংলার শাসকদল। বিরোধীর বক্তব্য, বাবা তৃণমূলের বিধায়ক, তাই সরকারি চাকরি পেয়ে গিয়েছেন মেয়ে। উদাহরণ টানা হচ্ছে পরেশ-কন্যা অঙ্কিতার। বিরোধীদের দাবি, ভুয়ো চাকরি প্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছিল মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। এবার একই ভাবে উঠে এসেছে রোশনারার নামও।

hum

চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান এই বিষয়ে জানান, মেয়ে রোশনারা যথেষ্ট মেধাবী ছাত্রী। তাই মেধার ভিত্তিতেই তাঁর চাকরি হয়েছে। রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী সুর শোনা যায় বিধায়ক পিতার গলায়। এমনকি প্রয়োজন হলে তাঁরা কোর্টেও চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এমনই জানান হামিদুল। বিষয়টি সামনে আসতেই উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক আলি ইমরান রামজ ভিক্টরের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। আলি ইমরান রামজ তাঁর ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিকেও অভিযুক্ত করেছেন। হামিদুল রহমানের মেয়ের পাশাপাশি তাঁর নিশানায় চাকুলিয়ার এক বিজেপি নেতাও রয়েছে। কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, খাতা পরীক্ষা করলে দেখা যাবে দু’জনই ফেল করেছে। রামজ বলেন, ‘হাইকোর্ট সম্প্রতি ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে তাতে প্রমাণ হয়েছে তাঁরা বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছে। জানতে পারি সেই তালিকায় চোপড়ার বিধায়কের মেয়ের নামও আছে। উনি ইংরাজির শিক্ষিকা।’

অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ হামিদুল রহমান। তাঁর বক্তব্য, ‘১২ বছর হয়ে গেল মেয়ের বিয়ে হয়েছে। পিতৃ পরিচয় ভাঁড়িয়ে কিছু করার প্রয়োজন মেয়ের নেই। আমার মেয়ের নাম নিয়ে বিতর্ক হলে ওর সার্টিফিকেট, মার্কশিট সবকিছু যাচাই করা হোক। ও পরীক্ষা দিয়ে কত নম্বর পেয়েছে, মৌখিকে কত নম্বর পেয়েছে সেটা দেখা হোক।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর