বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘এ যেন অজানা এক পথ, কে জানে কোথায় হবে শেষ…’ রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা যেন অনেকটা এরকমই। সময় চলে যাচ্ছে। কিন্তু সামান্য আশ্রয়স্থলের আশায় তারা পাড়ি দিচ্ছে এদেশ থেকে ওদেশ। আর এই সময় ঘটে যাচ্ছে বড় বড় দুর্ঘটনা। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ভর্তি একটি নৌকা ডুবে গেল আন্দামান সাগরে। নৌকাটি নিখোঁজ ছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে। রাষ্ট্রসংঘ আশঙ্কা করছিল এমনই কোন দুর্ঘটনার।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের আশঙ্কাকে সত্যি করে ঘটে গেল বিপর্যয়। নৌকাডুবিতে মৃত্যু হল প্রায় ১৮০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ অসংখ্য। তাদের সন্ধানে জারি রয়েছে তল্লাশি। সূত্রের খবর, নৌকাটি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে রওনা হয়েছিল। নৌকাটি পাড়ি দিয়েছিল গত ২ ডিসেম্বর। এরপর ৮ ডিসেম্বর থেকে নৌকাটির সাথে কোন রকম যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আন্দামান সাগরে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার ফলে মর্মাহত সবাই। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীলংকার উপকূলবর্তী এলাকায়। জানা গেছে, বেআইনিভাবেই বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে নৌকাটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ভার বহন ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নৌকাটিতে বোঝাই করা হয়েছিল। নৌকাডুবির কথা প্রথম জানতে পারেন শ্রীলঙ্কা উপকূলের মৎস্যজীবীরা। এরপর তারা খবর দেন উপকূলরক্ষীদের। এরপর শুরু হয় উদ্ধার কাজ। হিসাব করে দেখা যায় ততক্ষণে ১৮০ জন শরণার্থী জলে ডুবে গিয়েছেন। আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে আর কোনও যাত্রী হয়ত বেঁচে নেই।
গত সপ্তাহে ভারতের উপকূলে উদ্ধার করা হয়েছিল রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা। খাদ্য ও জলের অভাবে এই নৌকায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসেই শ্রীলঙ্কার নৌ বাহিনী শ্রীলংকার উত্তর উপকূল থেকে ১০৪ জন রোহিঙ্গা সহ একটি নৌকা উদ্ধার করেছিল। বহুদিন ধরেই একটু ভালো জীবন যাত্রার আশায় বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে থাকা অনেক রোহিঙ্গাই পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ায়। বেআইনিভাবে নৌকা করে সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা।