বাংলা হান্ট ডেস্ক: চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping মানসিক অস্থিরতার কথা পুরো বিশ্বই জানে। শুধু তাই নয়, প্রায়শই চিন তার সামরিক শক্তি নিয়েও বড়াই করে। কিন্তু, এবার যে তথ্য সামনে এসেছে তা রীতিমতো স্তম্ভিত করে দেবে সবাইকেই। মূলত, সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, চিন কিভাবে তার নিজের সৈন্যদের ওপর অত্যাচার করছে। মূলত, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চিনা সেনাদের মানসিক অবস্থা মোটেও ভালো জায়গায় নেই।
খবরে বলা হয়েছে, সেদেশে প্রতি পাঁচজন পিএলএ (PLA) সৈন্যের মধ্যে একজন স্ট্রেস বা অন্যান্য মানসিক রোগে ভুগছে। এমতাবস্থায়, এহেন পরিস্থিতির সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা না হলেও বলা হয়েছে এই ঘটনার পেছনে চিনের প্রেসিডেন্টের সম্প্রসারণবাদী নীতি এবং যুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রবল জেদ অনেকাংশেই রয়েছে।
শুধু তাই নয়, এমনও খবর আছে যে এখন চিন তার সৈন্যদের জন্য কাউন্সেলিং কোর্স শুরু করতে চলেছে। মূলত, সেনাদের মানসিক ভারসাম্য যাতে ঠিক থাকে সেজন্যই এটা করা হচ্ছে। সূত্রের মতে, বর্তমানে চিনে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় সেনাদের মধ্যে মানসিক উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। এমনকি এই অবস্থায় তাদের পরিবারের সাথে দেখা করাও নিষিদ্ধ। করোনার ভয়ে, চিনা PLA সৈন্যরা LAC-র কাছাকাছি তাদের সমস্ত শিবিরে প্রচুর সংখ্যক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে।
চিনে করোনার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে: বর্তমানে চিনের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শুধু তাই নয়, চিনে একদিনে সর্বোচ্চ ৩.৭ কোটি করোনা আক্রান্তের খবরও পাওয়া গেছে। যা সারা বিশ্বে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। এর পাশাপাশি, চিনে প্রতিদিনই হাজার হাজার মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের বাইরে ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য দীর্ঘ লাইন পরিলক্ষিত হচ্ছে সেদেশে।
এমতাবস্থায়, চিনের অন্যতম বৃহত্তম শহর গুয়াংঝুতেও এই ছবি দেখা গিয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেট নিতে একইসাথে এত মানুষ একত্র হচ্ছেন যে পরিস্থিতি সামাল দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গুয়াংঝু স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছিল যে, করোনার ওমিক্রন রূপটি ফ্লুর চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক। যদিও, গুয়াংজু স্বাস্থ্য কমিশন এটাও জানিয়েছিল যে, এটির কারণে মৃত্যুর সংখ্যা কম হবে। এমন পরিস্থিতিতে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে গুয়াংজুতে এক সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ কিভাবে মারা গেলেন? একইসঙ্গে, চিন সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে চিন্তিত যে, চিনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনা বিশ্বে একটি নতুন মিউট্যান্ট ছড়াতে পারে।