ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির আবহেই সস্তা হবে গম! সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে বড় পদক্ষেপ মোদী সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে সময়ে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জেরে উর্ধ্বমুখী হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। যদিও, ঠিক এই আবহেই এক স্বস্তির খবরও মিলল। মূলত, আগামী দিনে গমের মূল্যবৃদ্ধি (Wheat Price) থেকে স্বস্তি পেতে চলেছে সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে, গমের খুচরো মূল্য নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে, সরকার এফসিআই গোডাউন (FCI Godown) থেকে ১৫-২০ লক্ষ টন গম বার করার কথা ভাবছে। এমতাবস্থায়, এফসিআই গোডাউন থেকে বেরিয়ে আসা এই গম ওপেন মার্কেট সেলস স্কিমের (OMSS) অধীনে আটা মিল সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

আটার দাম ৩৭.২৫ টাকায় পৌঁছেছে: উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের মতে, গত ২৭ ডিসেম্বর গমের খুচরো মূল্য ছিল প্রতি কেজিতে ৩২.২৫ টাকা। এক বছর আগে এই দাম ছিল প্রতি কেজিতে ২৮.৫৩ টাকা। অর্থাৎ, অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে এই দাম। এদিকে, এক বছর আগের তুলনায় আটার দাম বৃদ্ধি পেয়ে কেজি প্রতি ৩৭.২৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। এক বছর আগে ওই দাম ছিল প্রতি কেজিতে ৩১.৭৪ টাকা।

সরবরাহ বৃদ্ধি করাই লক্ষ্য: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, OMSS-এর অধীনে, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে (FCI) সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে গম এবং চাল খোলা বাজারে পাইকারি উপভোক্তা এবং ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য হল চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বৃদ্ধি করা এবং খোলা বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম কমানো। এই প্রসঙ্গে সূত্র জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রক ২০২৩ সালের জন্য গম সংক্রান্ত একটি OMSS পলিসি উপস্থাপন করেছে।

১৫-২০ লক্ষ টন খাদ্যশস্য ছাড়া হবে: ওই পলিসির অধীনে, FCI থেকে পাইকারি গ্রাহকদের কাছে ১৫-২০ লক্ষ টন খাদ্যশস্য ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের মতে, FCI কর্তৃক জারি করা গমের মূল্য কি হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। অপরদিকে আরেকটি সূত্র দাবি করেছে যে, সরকারের কাছে এখন পর্যাপ্ত গম রয়েছে। যার কারণে OMSS-এর অধীনে এগুলি ছেড়ে দেওয়া হবে।

wheat india

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আগামী মরশুমে গমের নতুন ফসলের সম্ভাবনাও ভালো দেখা যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার চাষের পরিমানও বেড়েছে। এমতাবস্থায়, খোলা বাজারে FCI-র গম আসার পরে এই দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পুলে প্রায় ১৮০ লক্ষ টন গম ও ১১১ লক্ষ টন চাল উপলব্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর