বাংলা হান্ট ডেস্ক : তিন দিন আগেই পালিত হয়েছে বড়দিনের। এখনও টাটকা তার রেশ। এর মধ্যেই কর্নাটকের এক চার্চকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি। সে রাজ্যের একটি গির্জায় হামলা করল একদল দুষ্কৃতী (Karnataka Church Vandalised)। অভিযোগ, কয়েকজন এসে চার্চে অতর্কিতে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে যীশু খ্রিস্টের একটি মূর্তিও!
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহীশূরের পেরিয়াপটনার সেন্ট মেরি’জ গির্জায়। পুলিস সূত্রে খবর, গির্জার একাধিক জিনিস ভাঙা হয়েছে। তার মধ্যে যীশুর একটি শিশুমূর্তিও ছিল। হামলার এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। জানা গিয়েছে, চার্চে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেই ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ কর্মীরা গির্জায় এসে দেখেন চার্চের মধ্যে লন্ডভন্ড অবস্থা।
গির্জার অবস্থা দেখে কর্মীরা চার্চের পাদ্রিকে খবর দেন। তিনি এসে খবর দেন পুলিসকে। মহীশূর পুলিসের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সীমা লটকর জানান, ‘গির্জার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই হামলার অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে চুরি ও লুটপাটের জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে। দানবাক্স নিয়ে পালিয়েছে অভিযুক্তরা।’
তবে এই হামলার ঘটনা নতুন নয়। জোর করে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগে একাধিক গির্জায় হামলা চালানো হয়েছে। এমনকী পাদ্রিদের হেনস্থা করার অভিযোগও উঠেছে একাধিকবার। এই রকম ঘটনায় বেশকয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে, অনেকগুলি গির্জা এবং খ্রিস্টান মিশনারিদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগের কারণে কিছু ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের ক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছে। গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে বড়দিনের একটি অনুষ্ঠানে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে বলে হামলাকারীরা অভিযোগ করেন।