বাংলা হান্ট ডেস্ক : অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) বহু প্রতীক্ষিত ইকো পার্কের অনুষ্ঠান বাতিল করা নিয়ে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূলের নোংরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হলেন গায়ক অরিজিৎ। এর থেকে আরও একধাপ এগিয়ে ২০১৫ সালে পাকিস্তানি গায়ক গুলাম আলির শো বাতিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুরনো টুইট সামনে এনে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেছে বামেরাও। অবশ্য তৃণমূল শিবিরের দাবি, অনুষ্ঠান বাতিলের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বিজেপি-বামেরা অযথাই রাজনীতি করছে।
২০১৫ সালে পাকিস্তানি গায়ক গোলাম আলির অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার প্রতিবাদে করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইসময় তিনি টুইটারে লেখেন, ‘সংগীতকে সীমানার বেড়াজালে আটকানো যায় না। সংগীত হৃদয়ের ছন্দ। গুলাম আলিজির অনুষ্ঠান কলকাতায় হতে পারে। আমরা তার ব্যবস্থা করব।’ অতীতের এই টুইট টেনেই মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। টুইটের স্ক্রিনশট দিয়ে শুভেন্দু লেখেন, ‘পাকিস্তানি গায়কের বেলা সংগীতকে সীমানার বেড়াজালে আটকানো যায় না আর হিন্দুস্তানি গায়কের বেলা বিষয়টা বদলে যায়।’
তবে, শুধু শুভেন্দু নন, এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, ‘বেছে-বেছে অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে না থাকলে করে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু অরিজিৎ সিং নয়, যারা তৃণমূলের সঙ্গে নেই প্রত্যেকের শোই বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে তৃণমূল বাংলার শিল্প-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে।’ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা দাবি করেন, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ গানটি গেয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরাগভাজন হয়েছেন গায়ক অরিজিৎ সিং।
অপরদিকে একই অভিযোগ সিপিএম-এরও। বামেদের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেছে রাজ্য। অবশ্য বিরোধীদের সব অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করেছে রাজ্যের শাসকদল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, ‘অরিজিৎ সিং আমাদের অত্যন্ত প্রিয়। ও বাংলার গর্ব। তাঁর অনুষ্ঠান বাতিলের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগই নেই। এটা নিয়ে বাম-বিজেপি সস্তার রাজনীতি করছে। আর বামেরা কীভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতির কথা বলে? ওঁদের আমলে তো ব্রাত্য বসুর সিনেমা-নাটক রিলিজ করতে দেওয়া হত না। তৃণমূল এরকম কিছু করবে না।’