বাংলাহান্ট ডেস্ক: আড়াই বছর পর হঠাৎ করেই ফের চর্চায় সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। এত দিনেও কোনো সুরাহা হয়নি বলিউড অভিনেতার মৃত্যু রহস্যের। তিন তিনটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একযোগে তদন্তে নামলেও এই আড়াই বছরেও মেলেনি কোনো সমাধান সূত্র। যদিও সিবিআই এর তরফে এক রকম আভাস দেওয়া হয়েছিল, সুশান্তের মৃত্যুটা আত্মহত্যাই। কিন্তু সম্প্রতি প্রয়াত অভিনেতার দেহের ময়না তদন্তকারী ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি খুন হয়েছিলেন।
নতুন করে সুশান্ত সংবাদ শিরোনামে উঠে আসায় আবার তাঁর ছবি, ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে প্রয়াত অভিনেতাকে দেখে আবারো চোখ জলে ভরেছে নেটিজেনদের। সেই সঙ্গে ফের শুরু হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে (Rhea Chakraborty) দোষারোপের পালা।
দাবি করা হচ্ছে, এই ভিডিওটি সুশান্তের জীবনের শেষের দিককার ভিডিও। তখন রিয়া তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। ভিডিও দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সুশান্তের শরীর বেশ অসুস্থ। এমনকি ঠিক করে কথাও বলতে পারছেন না তিনি। ভিডিওটি দেখে রিয়ার উপরে রেগে আগুন নেটনাগরিকরা।
একজন লিখেছেন, কী অবস্থাটাই না করেছিল সুশান্তের! আবার কেউ অভিশাপ দিয়েছেন, নরকেও জায়গা হবে না রিয়ার। এমন প্রতিভাবান একজন মানুষকে মেরে কোনোদিন সুখে থাকতে পারবেন না তিনি। আবার সেই জেলেই পচতে হবে রিয়াকে।
সম্প্রতি কুপার হাসপাতালের কর্মী রূপকুমার শাহ বিষ্ফোরক দাবি করেছেন সুশান্ত সম্পর্কে। সুশান্ত যেদিন মারা যান সেদিন একসঙ্গে পাঁচটি মৃতদেহ এসেছিল কুপার হাসপাতালে। তার মধ্যে একটি ছিল ভিআইপি বডি। ময়না তদন্ত করার সময় চিকিৎসকেরা জানতে পারেন যে সেটা সুশান্তের মরদেহ। তিনি দাবি করেন, প্রয়াত অভিনেতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। দু চারটে দাগ ছিল তাঁর গলাতেও।
https://www.instagram.com/reel/CmUMJ9OuvpS/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
ওই চিকিৎসক আরো জানান, ময়না তদন্তের প্রক্রিয়াটা রেকর্ড করে রাখা হয়। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে হাসপাতালের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশ ছিল শুধুমাত্র দেহের ছবি তুলে রাখতে। সেই নির্দেশ মতোই কাজ হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, আরো কিছু বিষ্ফোরক দাবি করেছেন রূপকুমার শাহ।
তিনি বলেন, সুশান্তের মৃতদেহ দেখা মাত্রই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে ওটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। সুশান্ত খুন হয়েছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের সিনিয়রদের জানিয়েছিলেন। নিয়ম মেনেই সবটা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাধা পান তিনি। তাঁকে বলা হয়, শুধুমাত্র কয়েকটা ছবি তুলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিসের হাতে দেহ তুলে দিতে। এত গোপনীয়তার জন্যই ময়না তদন্ত রাতে হয়েছিল বলে জানান চিকিৎসক।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…