বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভাগ্যটাই খারাপ পরীমণির (Porimoni)। বাংলাদেশি অভিনেত্রীর পরিস্থিতি দেখে এখন এমনটাই বলছেন অধিকাংশ লোকজন। এই নিয়ে পাঁচ বারের বার বিয়ে ভাঙার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তাঁর। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে চলতি বছরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পরীমণি। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই ভাঙল তাসের ঘর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি পরীমণির একটি পোস্টে ভাঙনের ইঙ্গিত পেয়েছেন নেটিজেনরা। শুক্রবার মধ্যরাতের একটু পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি আজ রাজকে নিজের জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে বেশি জরুরি আর কিছুই নেই।’
পরে অবশ্য সেই পোস্ট তিনি মুছে ফেলেন ফেসবুকের দেওয়াল থেকে। এমনকি পরীমণি নাকি নিজেও বেরিয়ে এসেছেন স্বামীর ঘর থেকে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নাকি শরিফুল রাজের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিনেত্রী। কোলের সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই নাকি বাড়ি ছেড়ে দেন তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন পরীমণি। তিনি জানান, তাঁদের খাতায় কলমে বিচ্ছেদ এখনো হয়নি। তবে তিনি রাজের থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেছেন। তাই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। খুব শীঘ্রই বিচ্ছেদ চেয়ে রাজকে চিঠি পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন পরীমণি।
এখনো এক বছরও হয়নি রাজ পরীমণির বিয়ের। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন অভিনেত্রী। নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন রাজ এবং একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই শুরু হয় সমস্যা। পরীমণি জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। শুধুমাত্র একরত্তি ছেলে রাজ্যর মুখের দিকে চেয়ে মানিয়ে নিয়ে থাকছিলেন। কিন্তু রাজের আচার আচরণ ক্রমেই সহ্যের সীমা পার করছিল। আর এক ছাদের তলায় থাকতে পারছিলেন না পরীমণি।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমণি। তার আগেই শরিফুল রাজের সঙ্গে সন্তান আগমনের খবর ফাঁস করেছিলেন তিনি। সন্তান গর্ভে নিয়েই বিয়ে সেরেছিলেন পরীমণি। সব চলছিল ভাল ভাবেই।
কিছুদিন আগে হঠাৎ স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন পরীমণি। অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মিমের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন রাজ। কিন্তু সে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন দুজনেই। পরীমণিও সম্প্রতি একটি আদুরে বার্তা দিয়েছিলেন রাজের উদ্দেশে। কিন্তু সুখের সময় টিকল না বেশিদিন।