আবাসের পর এবার জলেও পড়ল দুর্নীতির আঁচ! তোলাবাজির অভিযোগ উঠল পুরসভার বিরুদ্ধে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক দুর্নীতিতে (Corruption) ঢেকেছে বঙ্গের মাটি। নিয়োগ দুর্নীতির পর বর্তমানে লাইমলাইটে পাহাড়প্রমান আবাস দুর্নীতি। সেই নিয়েই উত্তাল বঙ্গ। এবার এই আবহেই প্রকাশ্যে আরেক দুর্নীতির খবর। জল প্রকল্পে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল নবদ্বীপ পুরসভার (Nabadwip Municipality) বিরুদ্ধে।

ঠিক কী অভিযোগ উঠছে? পানীয় জলের কানেকশন নিতে হলে প্রশাসনকে দিতে হবে ৩ হাজার! এমনই অভিযোগ উঠে এল নবদ্বীপ থেকে। জলের কানেকশন দিতে প্রত্যেক বাড়ি থেকে চাওয়া হচ্ছে ৩ হাজার টাকা, আর সেই টাকা দিতে না পারলে জলের কানেকশন কেটে দেওয়া হচ্ছে বলেও উঠছে অভিযোগ। আর সেটাও নাকি হচ্ছে স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতেই। নবদ্বীপের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তেঘড়িপাড়ার ঘটনা চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গেছে গোটা এলাকায়।

   

তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার বিরুদ্ধে পানীয় জলের ওপর ট্যাক্স নেওয়ার প্রতিবাদে সরব এলাকাবাসী। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, “আমাদের প্রত্যেকের থেকে তিন হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও লাইন দেয়নি, বলেছে তিনহাজার টাকা করে দিতে হবে।” ওপর এক বাসিন্দা জানান, “জলের লাইন বসানোর জন্য টাকা চেয়েছিল। আমি দিতে পারিনি বলে ২৩ ডিসেম্বর লাইন বসিয়ে ৩১ ডিসেম্বর খুলে নিয়ে চলে যায়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর নবদ্বীপে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “ভারতের প্রায় সব জায়গায় জলের উপর ট্যাক্স নেওয়া হয়। আমি বলেছিলাম জলের আর এক নাম জীবন। তাই জলের উপর ট্যাক্স নেওয়া যাবে না। এর জন্য কেন্দ্র আমাদের অনেক প্রজেক্ট আটকে দিয়েছে। আমাকে বলল, জলের উপর ট্যাক্স না নিলে বিশ্বব্যাঙ্ক বলেছে টাকা দেবে না। আমি বললাম ওদের টাকা ওরাই ঠিক করুক কোথায় দেবে। তবে ওদের কথা শুনে আমি মানুষের উপর ট্যাক্সের বোঝা বাড়াতে পারব না। তাতে আমার হলে হবে, না হলে না হবে। আমরা নিজেরা তৈরি করব।”

water

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই এত প্রতিশ্রুতিতে রীতিমতো জল ঢেলে, দুর্নীতির আধিপত্য কায়েম রয়েছে এলাকায়। এবিষয়ে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর পারুল দেবনাথের বক্তব্য, “আমাদের পুরসভায় নিয়ম আছে সেই কারণে ৩০০০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। সবাই দিচ্ছে সেই টাকা। পানীয় জলের কানেকশন দেওয়ার জন্য নয়”। যদিও এবিষয়ে নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, এলাকার সিপিএম নেতা সৌমেন অধিকারী বলেন, “প্রশাসকরা মানুষের কাছে যে কর সংগ্রহ করছে তা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” পাশাপাশি এই বিষয়ে বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখন সাধারণ মানুষ ভয় কাটিয়ে বলছেন। সেই কারণে সব কিছু সামনে আসছে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর