বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২২ পেরিয়ে এখন ২৩। বদলেছে বছর, বদলেছে আবহাওয়া, তবে বদলালোনা কেষ্টর ভাগ্য। বুধবার গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বছরের শেষ থেকেই কেষ্টর জামিনের আশা বুনছিল অনুব্রতর অনুগামীরা। তবে কেষ্ট ভক্তদের সমস্ত আশায় একেবারেই জল ঢেলে মঙ্গলবার ফের কেষ্টকে শ্রীঘরে দিন কাটানোরই নির্দেশ দিল আদালত।
এদিন এজলাসে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রতর জামিন মামলার মামলার শুনানি ছিল। এদিন অনুব্রতর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। অন্যদিকে, কেষ্টর জামিনের বিপক্ষে কথা বলেন তদন্তকারীর আইনজীবী। সিবিআইয়ের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে আদালত বলেছিল, গরু পাচার মামলায় বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার জামিন পেয়েছেন। জামিন পেয়েছেন মূল অভিযুক্ত এনামুল হকও। তাহলে অনুব্রতকে আটকে রাখার পেছনে যুক্তি কোথায়?
এর উত্তরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেলে এই মামলার সাক্ষীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে। সিবিআই এও যুক্তি দেয়, যে দুজন অভিযুক্তকে এই মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁদের চেয়ে অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী। আদালতে প্রভাবশালী তত্ত্ব দেখিয়েই অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই।
এরপরেই, এদিন এজলাসে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, বর্তমানে তদন্ত যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে অনুব্রতকে এই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। আদালতের যুক্তি, এই পর্যায়ে অনুব্রতক জামিন দিলে তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারে অভিযুক্ত। এই যুক্তিতেই আজ বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতির আবেদনের আর্জি আরও একবার খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন আদালতে অভিযুক্তর হয়ে সওয়াল করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে বহু প্রচেষ্টা করার পরও কোনো সুরাহা হল না অনুব্রতর। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় বহুদিন শ্রীঘরে আছেন এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। জেলের ভাত খেয়ে খেয়ে অনেকটাই কমেছে কেষ্টর ওজন। তবে তাতেও কিছু করার নেই। এখনও আরও বেশ কিছুদিন জেলের ঘানি টেনেই দিনযাপন করতে হবে কেষ্টকে।