বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বল হাতে তিনি যে আগুন ছোটাতে পারেন সেই কথা সকলেরই জানা ছিল। কাল উমরানের (Umran Malik) সেই গতিশীল বোলিংই ভারতকে (Team India) ম্যাচ জেতালো। কাল শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা (Dasun Shanaka) ২৬ বলে ৪৫ রান করে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ২৭ তম বলে এক্সট্রা কভারে তিনি ধরা পড়লেন সঞ্জু স্যামসনের (Sanju Samson) হাতে। শ্রীলঙ্কার নিশ্চিত জেতা ম্যাচ ওখান থেকেই আস্তে আস্তে হাত থেকে বেরিয়ে গেল।
১৭ তম ওভারে যখন শানাকা আউট হয়ে ফিরলেন তখন বোলিং করছিলেন উমরানই। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফ্লিক করে একটি দুর্দান্ত ছক্কা মেরে ছিলেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। ওভারের চতুর্থ বলেও তার চেষ্টা ছিল বলটিকে অফসাইড বাউন্ডারি পার করে দেওয়ার। কিন্তু উমরানের মারাত্মক গতির কারণে তিনি ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি এবং সঞ্জুর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বসেন।
পরে দেখা যায় উমরানের ওই ডেলিভারিটির গতি ছিল ঘন্টায় ১৫৫ কিমি। কাল হার্দিক এবং শিবম মাফি নতুন বল হাতে বোলিং ওপেন করার পর চেঞ্জ ফাস্ট বোলার হিসেবে এসেছিলেন তিনি। শুরু থেকেই নিয়মিত ঘন্টায় ১৪৫ কিমির বেশি গতিতে বোলিং শুরু করেছিলেন উমরান। অষ্টম ওভারে তার বল পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েছিলেন আশালঙ্কা।
কাল নিজের নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ২ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পেসার। এবার ভারতীয় দলের তাকে কিভাবে ব্যবহার করা উচিত সেই নিয়ে মতামত জানিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অজয় জাদেজা। তিনি মনে করেন যে উমরান ভবিষ্যতে বিশেষ করে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে মাঝের ওভার গুলিতে বল হাতে বিপক্ষ দলের মিডল অর্ডারকে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করবেন।
অজয় জাদেজা বলেছেন, “আপনি যদি এমন গতিশীল একজন বোলারকে শুধুমাত্র রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি তার প্রতিভাকে অপচয় করবেন। হ্যাঁ, ওর লাইন এবং লেংথে কিছু গন্ডগোল আছে, কিন্তু এত গতিতে যে বোলাররা বল করে তাদের কাছ থেকে একদম নিখুঁত কন্ট্রোল সব সময় আশা করা উচিত নয়। ও এখনো শিখছে। ও ভবিষ্যতে অনেক উন্নতি করবে।”