বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তিনি সংগ্রামের প্রতীক। তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা তৃণমূলের জন্মদাত্রী বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর জন্মদিন নিয়ে মানুষের মনে যে উৎসাহ থাকবে তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে! সরকারি নথি অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ৫ই জানুয়ারি, ১৯৫৫। সেই হিসাব মতো আজ মুখ্যমন্ত্রী ছুঁয়ে ফেললেন জীবনের আটষট্টিতম জীবন বসন্ত। এই বয়সেও তাঁর স্পৃহা কাবু করে দিয়েছে বহু তরুণ নেতা-নেত্রীকেও।
আজ সকাল থেকেই তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী থেকে সমর্থকদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর রাজনীতি- কালীঘাটের ছোট্ট বাড়িটায় কতবছর ধরে এই দুটো শব্দই তো একে অপরের সমার্থক হয়ে উঠেছে। একজন অগ্নিকন্যার জন্মদিনগুলোও বোধহয় এমনই হয়, স্লোগান শোনা যায়, ‘হ্যাপি বার্থডে’ গান নয়। সরকারিভাবে ৫ই জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন হলেও এটি সঠিক নয়!
কোনরকম লুকোচুরি না করেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর লেখা “একান্তে” বইটিতে এই বিষয় উত্তর দিয়েছেন।
নিজের জীবনের অনেক কিছুই তিনি লিখেছেন তাঁর এই বইতে। “একান্তে” বইয়ের ৮৪ নম্বর পাতায় তিনি লিখেছেন, ”মা’র কথানুযায়ী দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর দিন সন্ধিপুজোর সময় আমার জন্ম। এর তিনদিন আগে থেকে নাকি শুরু হয়েছিল একটানা প্রবল বৃষ্টি। আমি চোখ খোলার পর নাকি বৃষ্টি থেমে যায়।”
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ৩৪ বছরের বাম শাসনকে উৎখাত করে তিনি বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে। টাইম ম্যাগাজিন ২০১২ ও ২০২১ সালে তাঁকে জায়গা দিয়েছিল ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০জন ব্যক্তি’-র তালিকায়। এছাড়াও, ‘ইন্ডিয়া এগেইনস্ট করাপশন’ এর ২০১৩-র জনমত সমীক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়েছিলেন ‘ভারতের সবচেয়ে সৎ রাজনীতিবিদ’। বঙ্গ রাজনীতিতে এখনও পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক অদ্বিতীয় নাম।