বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার সরাসরি জরিমানার মুখে পড়ল জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট (Flipkart)। জানা গিয়েছে, এক গ্রাহকের ফোন ডেলিভারি না করার জন্য ফ্লিপকার্টকে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফ্লিপকার্টকে এখন জরিমানা বাবদ স্মার্টফোনের দামের তিনগুণ বেশি অর্থ দিতে হবে। ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু আরবান ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন (Bengaluru Urban District Consumer Disputes Redressal Commission) এই নির্দেশ দিয়েছে।
এমতাবস্থায়, কমিশন তার নির্দেশে জানিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স কোম্পানিকে ১২ শতাংশ বার্ষিক সুদের সাথে মোবাইল ফোনের জন্য ১২,৪৯৯ টাকা দিতে হবে। এছাড়াও, ২০,০০০ টাকা জরিমানা এবং আইনিভাবে ১০,০০০ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ এর মানে হল, ফ্লিপকার্টকে মোট ৪২,০০০ টাকার বেশি দিতে হবে। যেখানে সুদের পরিমান যুক্ত নেই।
পেমেন্ট করার পরেও ডেলিভারি করা হয় নি ফোন: এই প্রসঙ্গে টাইমস নাও অনুসারে জানা গিয়েছে যে, বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগরের বাসিন্দা দিব্যশ্রী জে এই বিষয়ে ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি জানান যে, ২০২২-এর ১৫ জানুয়ারি, ওই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে ১২,৪৯৯ টাকার একটি মোবাইল ফোন বুকিং করা হয়েছিল। পাশাপাশি, সেটি পরের দিন ডেলিভারি করা হবে বলে আশা করেছিলেন তিনি। এমতাবস্থায়, তিনি দাবি করেছেন যে, কোম্পানিকে সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করা হলেও, ফোনটি ফ্লিপকার্ট সরবরাহ করেনি।
অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিশ পাঠানো হয়: এদিকে, পুরো বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে ওই গ্রাহক কনজিউমার কোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিকে, আদালত এই বিষয়ে সংস্থাকে নোটিশও পাঠিয়েছিল। যদিও, ফ্লিপকার্ট তার প্রতিনিধি পাঠায়নি। এমন পরিস্থিতিতে, শুনানি শেষে আদালত ওই ই-কমার্স কোম্পানিকে জরিমানা করে।
আদেশে কি বলেছে আদালত: বেঙ্গালুরুর কনজিউমার কোর্ট জানিয়েছে যে, ফ্লিপকার্ট শুধুমাত্র পরিষেবার ক্ষেত্রে “সম্পূর্ণ অবহেলা”-ই করেনি বরং অনৈতিক প্রথারও অবলম্বন করেছে। আদেশে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহককে সময়মতো ফোন না দেওয়ায় তাঁর আর্থিক ক্ষতি এবং “মানসিক আঘাত” হয়েছে। এদিকে, টাকা দিয়েও ফোন না পেয়ে ওই গ্রাহক একাধিকবার কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করেন বলেও জানায় আদালত।