বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: পেসারদের হতাশাজনক বোলিংয়ের পর মরিয়া চেষ্টা করলেন সূর্যকুমার যাদব এবং অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু শেষ ওভারে এসে দুই উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচ জিতিয়ে গেলেন তাদের অধিনায়ক শানাকা। সূর্য, অক্ষর, মাভির মরিয়া লড়াইয়ে অত্যন্ত কাছাকাছি এসেও ১৬ রানে হারলো ভারত।
টসে জিতে হার্দিক পান্ডিয়া বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর চূড়ান্ত হতাশ করেছিলেন ভারতীয় পেসাররা। হার্দিক পান্ডিয়া বাদে দলের বাকি তিন পেসার উমরান মালিক, অর্শদীপ সিং ও শিবম মাভি চূড়ান্ত হতাশাজনক বোলিং করেন। এদের মধ্যে শুধুমাত্র উমরান (৩/৪৮) মাঝের ওভার গুলিতে উইকেট তুলে রান কিছুটা আটকে রাখতে সাহায্য করেছিলেন। বাকি দুই তরুণ পেসারকে আজ দেখিয়েছে সম্পূর্ণ অসহায়।
শ্রীলঙ্কা যে ২০০ রানের গন্ডি (২০৬) পেরিয়ে খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি, তার মূল কারণ হলো ভারতীয় স্পিনাররা। পুনেতে বোলারদের বধ্যভূমিতে অক্ষর প্যাটেল (২/২৪) এবং যুজবেন্দ্র চাহাল (১/৩০) কৃপণ বোলিং করে মাঝের ওভারগুলিতে শ্রীলঙ্কাকে বেশি রান তুলতে দেয়নি। কুশল মেন্ডিস ওপেন করতে নেমে ৫২ এবং শেষদিকে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা অত্যন্ত আগ্রাসী ভঙ্গিতে ৫৬ রান করে তাদের টিমকে ২০০ রানের গন্ডি পার করিয়ে দেন।
এরপর রান তারা করতে নেমে শুরুর দিকে রাজিতাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। শুভমান গিল (৫), ঈশান কিষান (২), রাহুল ত্রিপাঠি (৫), হার্দিক পান্ডিয়া (১২) এবং দীপক হুডাকে (৯) প্রথম ৫৫ বলেই হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। দলের স্কোর তখন কেবল ৫৭। ১০ ওভার শেষ হওয়ার পর ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬০ বলে ১৪২।
এরপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন অক্ষর প্যাটেল এবং সূর্যকুমার যাদব। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের টার্গেট করে নিয়েছিলেন অক্ষর। তারকা লেগ স্পিনার ওয়ারিন্দু হাসারাঙ্গার করা ১৪তম ওভারে ২৬ রান তোলে দুজন। ২০ বলে নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন অক্ষর। সূর্যকুমারের সেই কাজটা সম্পূর্ণ করতে লাগে ৩৩ বল। কিন্তু এরপর ৩৬ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা সহ ৫১ রান করে লং অনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন স্কাই। ফলে ফের বিপাকে পড়ে ভারত।
কিন্তু এরপর শিবম মাভি বেশ কিছু বড় শট খেলে অক্ষরের উপর থেকে চাপ অনেকটা কমিয়ে দেন। ১৮ তম ওভারে দুটি ছক্কা এবং একটি চার মারেন মাভি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রানে। বেশ কয়েক মাস পরে প্রথম বার বল হাতে নিয়ে দলের প্রয়োজনে শেষ ওভারে বল করতে আসেননি শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ব্যাট হাতে একটি অসাধারণ ক্যামিও খেলেছিলেন। শেষ ওভারে বিপজ্জনক অক্ষরকে (৬৫) আউট করে ম্যাচের নায়ক হয়ে যান তিনি।