বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শেষ ওভারে করেছিলেন ২০ রান। বোলার ছিলেন শিবম মাভি। ভারতীয় ইনিংসের শেষ ওভারে ভারত শ্রীলঙ্কার স্কোরের থেকে ২০ রান দূরে দাঁড়িয়ে। সামনে দাঁড়িয়ে সেই শিবম মাভি বল হাতে নিজের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছেন ব্যাট হাতে এবং ফাইনাল ওভারের আগে ১২ বলে করে ফেলেছেন ২৫ টি রান। উইকেটের অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন অক্ষর প্যাটেল, যারা আগ্রাসে ব্যাটিংয়ের হাত থেকে আজ রক্ষা পায়নি শ্রীলঙ্কার একটি বোলার। আপনি আজকের আগে শেষবার কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের বল করেছেন গত বছরের অক্টোবর মাসে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি দুটি উইকেট তুলে শেষ ওভারে ম্যাচটি জিতিয়ে দেন তাহলে ব্যাপারটা যেমন রূপকথার মত শোনাবে না?
ঠিক এই রূপকথাটাই লিখে দেখালেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শেষবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে বোলিং করেছিলেন গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে। তারপর আজ ফাইনাল ওভারে ওয়ারিন্দু হাসারাঙ্গা ছাড়া হাতে কোনও অপশন না থাকায় এবং শ্রীলঙ্কান স্পিনার নিজের সেরা ছন্দে না থাকায় নিজেই বল হাতে তুলে দেন এবং অক্ষর ও মাভির উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কার হয়ে সিরিজে সমতা ফেরান।
এর আগে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের সময় যখন মাঠে নেমেছিলেন তখন পুলের অতিরিক্ত বাউন্স যুক্ত পিচে আগুন ছোটাচ্ছেন উমরান মালিক। হ্যাট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে জম্বু কাশ্মীরের পেশার এবং স্ট্রাইকে শানাকা। প্রবল গতিতে ধেয়ে আসা ডেলিভারিটাকে উমরানের মাথার ওপর দিয়ে কয়েকটি ড্রপ খাইয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে বলার যেই হোক না কেন তিনি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবেন।
এরপর ব্যাট হাতে রীতিমতো তান্ডব নাচ নাচলেন এবং শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম অর্ধশতরানটি করে ফেললেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। ২২ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করলেন এবং প্রতিটি সঠিক বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন যে গত বছরের শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা কোন ফ্লুক ছিল না। শ্রীলঙ্কা ভারতের মাটিতে সিরিজ জিতবে কিনা সেই জবাব পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে। কিন্তু দাসুন শানাকার হাত ধরে টালমাটাল শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট যে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা করছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।